শুক্রবার, ৯ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

হাতে অস্ত্র মাথায় হেলমেট

ছড়িয়ে পড়েছে চৌদ্দগ্রামের সংঘর্ষের ভিডিও

কুমিল্লা প্রতিনিধি

হাতে অস্ত্র মাথায় হেলমেট

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় অন্তত ১০-১২ জন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষ চলাকালে রিভলবার, পিস্তল, পাইপগান ও কাটা রাইফেল ব্যবহার করেছেন অস্ত্রধারীরা। তাদের প্রায় সবার মাথায় ছিল হেলমেট। রামদা ও অন্যান্য দেশি অস্ত্র ব্যবহার করেছেন শতাধিক ব্যক্তি। এ অস্ত্রের মহড়া ও গুলির ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় মামলা করেনি। গ্রেফতারও হয়নি কোনো অস্ত্রধারী। ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, বাজারের ফুটওভার ব্রিজের নিচে হেলমেট পরা দুই যুবক অস্ত্রহাতে গুলি চালাচ্ছেন। অন্য একটি ছবিতে দেখা যায়, অস্ত্রহাতে গেঞ্জি পরা এক যুবক বাজারের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন। তার কাঁধে একটি ব্যাগ। বেসরকারি টিভি চ্যানেলের লাইভ সম্প্রচার চলাকালে এক যুবককে অস্ত্রে গুলি লোড করতে দেখা যায়। সংঘর্ষ চলাকালে একাধিক অস্ত্রধারী গুলি চালিয়েছেন। কেউ কেউ অস্ত্রহাতে রাস্তায় মহড়া দিয়েছেন। তাদের কয়েকজন স্থানীয়। অন্যরা ফেনী ও কুমিল্লার বাসিন্দা বলে জানা যায়। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর মেয়র মিজানুর রহমান বলেন, ওই সংঘর্ষ চলাকালে যুবলীগ কর্মী সোহেল, ছাত্রলীগ কর্মী রিয়াজ, রাজৌ, মাসুদ ও প্রভাতের হাতে অস্ত্র দেখা গেছে ভিডিওতে। সোহেল হেলমেট পরে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়েপ্রণ। তার সঙ্গে আরও একজন গুলি চালিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় এমপি আমাদের প্রতিপক্ষ। তাই ছাত্রলীগ ও যুবলীগ আমার লোকজনের ওপর গুলি চালিয়েছে।

এমপি মুজিবুল হকের অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ বাবুল বলেন, আমাদের কোনো নেতা-কর্মী গুলি চালায়নি। এসব কাজ আমাদের প্রতিপক্ষ মিজানের লোকজন করতে পারে। কারা অস্ত্র নিয়ে গুলি চালিয়েছে তা পুলিশ ও গোয়েন্দারা ইচ্ছা করলে শনাক্ত করতে পারবে।

চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি শুভরঞ্জন চাকমা বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে অস্ত্র ব্যবহারকারীদের পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে কারও নাম প্রকাশ কিংবা আটক করা যাচ্ছে না। বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের কাছে ভিডিও ও কিছু ছবি এসেছে। অস্ত্রধারীদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি নিয়ে মঙ্গলবার মুখোমুখি হন এমপি মুজিবুল হক ও সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমানের সমর্থকরা। দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে রূপ নেয় চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও আশপাশ। কয়েকটি গাড়িতে ছিনতাই ঘটে। চলে ভাঙচুর, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সাড়ে ৩ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর