মঙ্গলবার, ৮ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

অনভিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে কষ্ট পাচ্ছে চট্টগ্রামবাসী

মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী

ইমরান এমি, চট্টগ্রাম

অনভিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে কষ্ট পাচ্ছে চট্টগ্রামবাসী

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এ দুই সংস্থায় এখন যারা দায়িত্ব পালন করছেন তাদের অফিস চালানোর পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। তারা ব্যক্তি হিসেবে অত্যন্ত সৎ ও ভদ্র, তবে তারা অনভিজ্ঞ। যার কারণে পরিকল্পিতভাবে কোনো কাজ তারা করতে পারছেন না। যে সব উন্নয়ন হয়েছে বা এখন হচ্ছে তা সম্পূর্ণ অপরিকল্পিত। বলতে গেলে অনভিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে চট্টগ্রামবাসী কষ্ট পাচ্ছে। এ কদিনের বৃষ্টিতে এ অবস্থা হলে, সংশ্লিষ্ট সংস্থায় যারা আছেন তারা এতদিন এসব নিয়ে পরিকল্পনা করেননি কেন প্রশ্ন রেখেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামে আগেও জলাবদ্ধতা ছিল, তবে তা ছিল কয়েকটি এলাকায়। এখন পুরো শহর পানির নিচে তলিয়ে গেছে। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য শত কোটি টাকার কাজ চলার পরও কেন এ অবস্থা। এই প্রকল্পের কাজ কেন এখনো শেষ হয়নি, প্রকল্পের মেয়াদ ৮ বছর পার হয়ে যাচ্ছে। এই ৮ বছরে তারা কি কাজ করেছেন, তা জনগণকে জানানো দরকার। আগে মেয়রের কাছে সব সংস্থার প্রধানরা নগরে কে কি কাজ করেছেন তার জবাবদিহিতা করেছেন। কিন্তু বিএনপি সরকার সেই আইনটি বাতিল করে। তিনি আরও বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ১৯৮৯ সালে মেয়র থাকাকালীন একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছিলাম। এক বছরে জায়গা অধিগ্রহণ করেছি, খাল খনন করেছি। কিন্তু এখন খাল-নালা সব ভরে গেছে, পানি যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই। আগে শহরের সব পানি কর্ণফুলী নদীতে চলে যেত। এখন নদী ওপরে উঠে গেছে খালগুলো নিচে নেমে গেছে। শহরের পানি এখন খাল হয়ে কর্ণফুলী নদীতে যেতে পারছে না। কর্ণফুলী নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায়। খালগুলোতেও প্লাস্টিক, নানা ময়লা-বর্জ্যরে কারণে তা পরিষ্কার করা যাচ্ছে না। যদি কর্ণফুলী নদী ড্রেজিং করে গভীরতা বাড়ানো যায়, খালগুলো পরিষ্কার করে খনন করা যায়, তাহলে শহরের জলাবদ্ধতা কমে আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সর্বশেষ খবর