ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ইউপি নির্বাচনের বিরোধকে কেন্দ্র করে জনি মিয়া (৩৫) নামে এক যুবলীগ নেতাকে পায়ের রগ কেটে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আওয়াল মিয়া নামে (৪৭) আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। উপজেলার তালশহর পশ্চিম ইউনিয়নের তালশহর বাজারে সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জনি মিয়া ওই এলাকার মো. মকসেন মিয়ার ছেলে ও তালশহর ইউনিয়ন ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক। তিনি বেকারি ব্যবসা করতেন। নিহতের পরিবারের দাবি, নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও তালশহর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু শামার নির্দেশে দ্ইু ছেলে দলবল নিয়ে জনিকে হত্যা করেছে। নিহতের চাচাত ভাই মো. বিদ্যুৎ জানান, জনি ও আওয়াল রাত ১০টার দিকে তালশহর বাজার থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বাজার সংলগ্ন সেতুতে পৌঁছালে আবু শামার দ্ইু ছেলে সাচ্চু মিয়া ও আমির হোসেন দলবল নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। তারা জনি মিয়ার দুই পায়ের রগ কেটে ফেলে এবং আওয়ালকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদের দুজনকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানে জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক তাদের ঢাকায় প্রেরণ করেন। ঢাকায় নেওয়ার পথে জনি মিয়া মারা যান। এদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গের সামনে বিপুল সংখ্যক শোকার্ত গ্রামবাসীসহ নেতা-কর্মী জড়ো হন। তারা এ হত্যার বিচার দাবিতে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে বিক্ষোভ করে। বিকালে মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে বাড়িতে নিলে পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়ে। জনির স্ত্রী আছমা বেগম, দুই ছেলে, এক মেয়ে এবং মা আমেনা খাতুন বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে আবু শামা ও তার ছেলে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমির হোসেনকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করার চেষ্টা হয়। তবে তাদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাহিদ আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।