স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গতকাল সকালে আবারও করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়। দুপুর সোয়া ২টার দিকে তাকে আবার কেবিনে নিয়ে আসা হয়।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া হঠাৎ শ্বাসকষ্ট অনুভব করায় তাকে কেবিন থেকে সিসিইউ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে খালেদাকে আল্ট্রাসনোগ্রাম ও ইসিজি করা হয়। এরপর আজ হঠাৎ শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। এর আগে গত রবিবার রাতে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় সোমবার বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে তাকে সিসিইউ থেকে আবার কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। ওই সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, খালেদা জিয়ার সবশেষ শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করতে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসে। বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে সিসিইউ এবং কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। জানা যায়, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থায় তাকে আপাতত কেবিনে রাখা নিরাপদ হবে না বলে মতামত দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাই মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে সিসিইউতে রেখে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে সিদ্ধান্ত আসে। পরবর্তীতে অবস্থার প্রেক্ষিতে কেবিনে নেওয়া হয়। লিভার সমস্যার জন্য ফুসফুসে জমে যাওয়া পানি অপসারণ করার পর খালেদা জিয়ার কিছুটা শ্বাসকষ্ট অনুভব হয়। দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। গত ৯ আগস্ট শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। এরপর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। এর আগেও অবশ্য খালেদা জিয়াকে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থাইটিস, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্রে জটিলতা, ফুসফুস, চোখ ও দাঁতের নানা সমস্যায় ভুগছেন। এ ছাড়া তার মেরুদণ্ড, হাত ও হাঁটুতে বাতের সমস্যাসহ আরও কিছু শারীরিক জটিলতা রয়েছে।
