আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিচ্ছে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা)। গতকাল সব আসনের প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া শেষ করেছে। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার কথা রয়েছে। গতকাল পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আজ বিকালে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারব। তিনি বলেন, কম-বেশি ৩০০ আসনেই মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাপা মহাসচিব বলেন, পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ভাবি বেগম রওশন এরশাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এটা তাদের পারিবারিক বিষয়, এ জন্য তিনি একা গিয়েছেন। দলীয় কিছু হলে পার্টি মহাসচিব হিসেবে আমাকে যেতে হতো। আমি ওই বৈঠকের বিষয়ে জানিই না। রাজনৈতিক বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা তা আমি জানি না।
মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আমাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রেগম রওশন এরশাদ, তাঁর ছেলে সাদ এরশাদ এবং ডা. কে আর ইসলাম যদি নির্বাচন করেন আমরা মনোনয়ন ফরম দেব, তাদের স্বাগত জানাব। আমরা চাই বেগম রওশন এরশাদ যেন নির্বাচনে আসেন। আমরা তাকে সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করব।
জাপা মহাসচিব বলেন, যারা দল করেন তারা দলীয় মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন এবং তাদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ চলছে। তাদের মধ্য থেকে কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তা মনোনয়ন বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কাঠামোয় কোনো বিভেদ নেই। জি এম কাদেরের নেতৃত্বের বাইরে কেউ নেই। জাতীয় পার্টি এখন যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। জাতীয় পার্টি এখন অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ। জাতীয় পার্টিতে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের অবকাশ নেই। তিনি আরও বলেন, সংসদীয় দল আর পার্টি এক নয়। সংসদীয় দলের সদস্যদের মেয়াদ শেষ। পার্টির কাজ পার্টি করছে, এর সঙ্গে সংসদীয় দলের কোনো সম্পর্ক নেই। আমাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শ্রদ্ধার পাত্র, তিনি নির্বাচন করলে আমরা স্বাগত জানাই। মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সভাপতিত্বে মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো- চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল ইমাম এমপি, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখত ও লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি।
