প্রায় ৫৮২ কোটি টাকার সরকারি সার আত্মসাতের অভিযোগে নরসিংদী-২ আসনের সাবেক এমপি কামরুল আশরাফ খান পোটনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপপরিচালক রফিকুজ্জামান মামলাটি করেন।
আসামিরা হলেন- ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পোটন ট্রেডার্সের মালিক কামরুল আশরাফ খান পোটন, ওই প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক মো. শাহাদত হোসেন (নিপু) ও মো. নাজমুল আলম (বাদল), পোটন ট্রেডার্সের উত্তরবঙ্গ প্রতিনিধি সোহরাব হোসেন এবং প্রতিনিধি (খুলনা ও নওয়াপাড়া) মো. আতাউর রহমান। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বিদেশ থেকে ইউরিয়া সার সরবরাহের জন্য আমদানি করলেও চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে বাফার গুদামে না দিয়ে ৫৮১ কোটি ৫৮ লাখ ৯ হাজার ৬৪ টাকার ৭১ হাজার ৮০১ টন ৩১ কেজি সার আত্মসাৎ করেছেন। জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমদানি করা ৩ লাখ ৯৩ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার খালাসের পর সরকারি গুদামে পৌঁছে দিতে পোটন ট্রেডার্সের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী সারগুলো ৫০ দিনের মধ্যে গুদামে পৌঁছে দেওয়ার কথা। কিন্তু খালাস হওয়া সারের মধ্যে ৭২ হাজার টন গুদামে সরবরাহ করেনি পোটন ট্রেডার্স। পোটন ট্রেডার্সের গুদামে আমদানি করা সার মজুদ আছে কি না যাচাই করতে গত বছরের ১০ নভেম্বর বিসিআইসি দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই ২ কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী পোটন ট্রেডার্স গত বছরের অক্টোবরের শুরুতে জানিয়েছিল তাদের ৬টি গুদামে ৬৬ হাজার টন সার রয়েছে। তবে সরেজমিন তদন্তে গিয়ে গুদামে মাত্র ১ হাজার ৩০০ টন সার পাওয়া যায়। ওই সারও ব্যবহারের অনুপযোগী ছিল। ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে গত বছরের ১৫ মের মধ্যে ওই সার খালাস হয়েছিল।
