বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, এ সরকারের স্লোগান হলো- ‘আমার ভোট আমি দেব দিনের ভোট রাতে দেব’। তবে সরকারকে বুঝতে হবে ২০২৪ সাল কিন্তু ২০১৪ সাল নয়। এ নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতা পাকাপোক্ত করে নেবে, এ চিন্তা করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে মোকাবিলা করব। কিন্তু শান্তি ভঙ্গ করব না। আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব ইনশা আল্লাহ।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশ শেষে তোপখানা রোডসহ আশপাশ এলাকায় লিফলেট বিতরণ করা হয়। কৃষক দলের সহসভাপতি আলহাজ খলিলুর রহমান ভিপি ইব্রাহিমের নেতৃত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহদফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সহসভাপতি আবুল বাশার আকন, জামাল উদ্দিন খান মিলন, যুগ্মসম্পাদক ফেরদাউস পাটোয়ারী প্রমুখ। ড. মঈন খান বলেন, যেদিন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে, সেদিনই তো নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে। তাই বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ কোনো গুরুত্ব বহন করে না। বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন বর্জন করেছে। কারণ এ দেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না। জনগণের ইচ্ছার কোনো প্রতিফলন ঘটে না। আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য হলো কীভাবে দিনের ভোট রাতে করবে অথবা ভুয়া সাজানো একটি নির্বাচন করবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে ভুয়া একটি ফল তৈরি করে তাদের ইচ্ছামতো একটি সরকার গঠন করবে। একদলীয় বাকশাল সরকার গঠন করবে সেই উদ্দেশ্যে তারা এ নির্বাচনের নামে একটা নাটক তৈরি করছে। অথচ ইতোমধ্যে প্রতিটি গণতন্ত্রকামী দেশ বলে দিয়েছে বাংলাদেশের যে নির্বাচন হচ্ছে, এটি কোনো নির্বাচন নয়।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে এ সরকার তাদের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে চায়। তারা ক্ষমতার মাধ্যমে মেগা দুর্নীতি করে অবৈধ সংসদ গঠন করবে। বিগত ১৫ বছরে এ সরকার ঋণের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছে। এর দায়দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়েছে দেশের খেটে খাওয়া মানুষের ট্যাক্সের ওপর। এ টাকা তারা লোপাট করে বিদেশে পাচার করে বেগমপাড়া তৈরি করেছে। তারা এ টাকা দিয়ে মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম তৈরি করেছে।
