বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, সরকার ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ দিচ্ছে না। কেউ আওয়ামী লীগ করবে, কেউ বিএনপি করবে, কেউ অন্য দল করবে। এভাবেই তো সারা দুনিয়া চলে আসছে। আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য। কিন্তু সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে দূরে সরে দেশে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে। এটা সারা দুনিয়া বলছে। তাহলে আমরা এ দেশে কীভাবে বাস করব? গতকাল সকালে রাজধানীর মগবাজারে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্যসচিব রবিউল ইসলাম নয়নের বাসায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় রবিউল ইসলাম নয়নের পিতা আক্কাস শেখ কান্নায় ভেঙে পড়েন। সাবেক মন্ত্রী ড. মঈন খান বলেন, বর্তমান সরকারের বিগত তিনটি নির্বাচনের ইতিহাস দেখুন। দেশের ১২ কোটি ভোটার এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে। সরকারকে মানুষের ভোটের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে হবে। আমরা মুক্ত পরিবেশে বসবাস করতে চাই। কথা বলার স্বাধীনতা চাই। মঈন খান বলেন, আমরা আশা করব সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করবে। মানুষকে তাদের মতামত প্রকাশের সুযোগ দেবে। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেবে। সরকার মুখে যা বলে বাস্তবে তা প্রমাণ করবে। দলের স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘বিএনপি বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে’- আওয়ামী লীগের এমন অভিযোগ সত্যি নয়। বিএনপি যদি বিদেশিদের ওপর নির্ভর করত তাহলে সারা বছর এসি রুমে বসে সিনেমা দেখত। কিন্তু বিএনপি রাজপথে আন্দোলন করছে, সভা-সমাবেশ করছে। সারা দেশে পদযাত্রা করেছে। সরকারের অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। রবিউল ইসলাম নয়নের পিতা আক্কাস শেখ বলেন, আজকে ১৫ বছর ধরে আমার ছেলে বাসায় থাকতে পারে না। ছেলের চেহারা দেখতে পারি না। কোথায় আছে জানি না। রাজনীতি করার কারণে দুবার আমার ছেলেকে গুলি করা হয়েছে। একবার গুলি করার পর মৃত ভেবে নয়নকে মর্গে নিয়ে যায় পুলিশ। নয়নের বিরুদ্ধে আড়াই শতাধিক মামলা করা হয়েছে। এক শ’র বেশি দিন রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে।