বুধবার, ২২ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
ড. হাছান মাহমুদ

যুক্তরাষ্ট্র আগেই জানিয়েছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র-ঘোষিত ভিসানীতির অধীনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জনসমক্ষে আনার আগে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসকে জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগে যে ভিসানীতি ঘোষণা করেছিল, সেটা ছিল ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের ধারা ৩-সি অনুসারে। আর জেনারেল আজিজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে ফরেন অফিস অপারেশন অ্যাক্টের আওতায়। এই দুটি আলাদা বিষয়। তবে আমরা সব সময়েই দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অবস্থানে রয়েছি। আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি সেনাবাহিনীর বিষয়, এ মুহূর্তে কিছু বলতে চাই না। তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে বাধা দেওয়ায় যদি জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এ সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে বাংলাদেশে যারা আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও করছে, বিচারপতির বাসায় হামলা চালিয়েছে, নির্বাচন প্রতিহত করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া উচিত।  সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফরের বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তার সঙ্গে আমাদের ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। ডোনাল্ড লু বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে যেসব বিষয়ে অস্বস্তি আছে সেগুলোকে একপাশে রেখে আমরা দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে চাই। আমরাও তাদের একই কথা বলেছি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। দুর্নীতি ও সন্ত্রাস দমন এবং অন্যান্য সব আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। ভারতে গিয়ে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। দুই দেশের গোয়েন্দারাও কাজ করছে। কী ঘটেছে তারা ভালো বলতে পারবে। ভারতের নির্বাচনি জনসভায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের নির্বাচনি জনসভায় কে কী বলল, সেটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। নির্বাচনি জনসভায় অনেকেই অনেক কিছু বলেন। এটি আমাদের কোনো বিষয় নয়।  অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ।

সর্বশেষ খবর