বাংলাদেশ সফরের দ্বিতীয় ও শেষ দিনে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। এ সময় তিনি জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে আছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এ সময় তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের গুরুত্ব দেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কর্মদক্ষতা ও শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। গতকাল কক্সবাজার থেকে ফিরে সফর শেষ করে ঢাকা ত্যাগ করেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মঙ্গলবার সকালে তিনি ঢাকা এসেছিলেন। গতকাল সকালে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে করে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে এসে সরাসরি রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে পৌঁছান অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি ১৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ্দোজার দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে পৌঁছে। ৮ নম্বর ওয়েস্ট ক্যাম্পে তাকে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ব্রিফ করেন সরকারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয় ও জাতিসংঘ শরণার্থী কমিশনের কর্মকর্তারা। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ১৮ নম্বর ক্যাম্পে অবস্থিত রোহিঙ্গা কালচারাল সেন্টার পরিদর্শন করেন। এ সময় কালচারাল সেন্টারে একদল রোহিঙ্গা তাদের ভাষায় গান পরিবেশন করেন। এরপর অস্ট্রেলিয়ান প্রতিনিধি দল ক্যাম্পের চিকিৎসাসেবা ও রোহিঙ্গাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। দুপুরে অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী শরণার্থী ক্যাম্পে নারীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম এবং বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত কমিউনিটি মাল্টিপল এক্টিভিটি সেন্টার পরিদর্শন করেন। এ সময় অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর শেষে ঘোষিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বর্তমানে প্রায় ৪০০ কোটি ডলার, যা ১০ বছর আগেও ১০০ কোটি ডলারের কম ছিল। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আরও গভীর ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে উভয় দেশ আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কৃষিজাত, প্রক্রিয়াজাত শিল্প, আইসিটি ও লজিস্টিক খাতে বিনিয়োগের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সমৃদ্ধশালী ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া একসঙ্গে কাজ করবে। দুই দেশই চায় শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধশালী, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ভয়-ভীতিহীন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল। যৌথ বিবৃতিতে দুই দেশের মধ্যে ইন্দো-প্যাসিফিক কেন্দ্রিক সহযোগিতা, বাণিজ্য বৃদ্ধি, দক্ষিণ এশিয়াতে কানেক্টিভিটি সম্প্রসারণ, সমুদ্র নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন ও মানব পাচার রোধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের হাতে প্রতি বছর অনেক মানুষ মারা যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দুই দেশ। অবৈধ ও অনিরাপদ মানব পাচার বন্ধের বিষয়ে নিরাপদ অভিবাসনের গুরুত্বকে উভয়পক্ষই স্বীকার করে নিয়েছে। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, অস্ট্রেলিয়া কোস্টগার্ডের কমান্ডার এ বিষয়ে আলোচনার জন্য বাংলাদেশ সফর করবেন।
শিরোনাম
- সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
- সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
- গাইবান্ধা কারাগারে অসুস্থ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
- আদাবরের শীর্ষ ছিনতাইকারী ‘চোরা রুবেল’ গ্রেপ্তার
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
- শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
- ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
- ঢাকা মেডিকেলে একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ
- বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
- হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ কার্নিভাল-৩ অনুষ্ঠিত
- নভেম্বরের ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২১৩ কোটি ডলার
- ফ্যাসিজম সহ্য করা হবে না, নিজেরাও ফ্যাসিষ্ট হবো না: তানিয়া রব
- বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন
- ৮১ দেশি পর্যবেক্ষকের সঙ্গে ইসির সংলাপ ২৫ নভেম্বর
- ‘ফ্যামিলি ম্যান থ্রি’: মনোজ নয়, জয়দীপের সিজন?
- টিকটক ইউজারদের জন্য চালু হলো টাইম অ্যান্ড ওয়েল-বিয়িং ফিচার
- পটুয়াখালীতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন
- বাংলাদেশের কাল ব্রুনাই চ্যালেঞ্জ