রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

অভিন্ন নদী নিয়ে দুঃখের শেষ নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

অভিন্ন নদী নিয়ে দুঃখের শেষ নেই

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, গঙ্গা চুক্তি শেষ পর্যায়ে। তিস্তা চুক্তি অধরাই রয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক নদীগুলো নিয়ে বাংলাদেশের দুঃখ শেষ হচ্ছে না। ইতোমধ্যে উত্তর বাংলার মেরুকরণ ঘটছে, আর দক্ষিণ বাংলায় উঠে আসছে লবণাক্ততা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন।

গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন : প্রেক্ষিত পদ্মা ও তিস্তা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত এ সভায় ‘১৯৯৬-এর গঙ্গাচুক্তির মেয়াদ শেষে আমাদের করণীয়’ বিষয়ে বক্তব্য দেন পরিবেশবিদ মাহবুব সিদ্দিকি ও পানি বিশেষজ্ঞ শেখ রোকন। ‘বাংলাদেশের দুঃখ তিস্তা : তিস্তা মহাপরিকল্পনা’ নিয়ে বক্তব্য দেন তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী। আরও বক্তব্য দেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। রাশেদ খান মেনন বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নেই নদীর পানির সমস্যার সমাধান করতে হবে। বাংলাদেশ তিস্তা চুক্তির জন্য আর অপেক্ষা করতে পারে না। পানি না দিয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনার ভারতের অর্থায়নের সাম্প্রতিক প্রস্তাব কার্যত ‘গরু মেরে জুতা দানের’ শামিল। তিনি আরও বলেন, কারও জন্য অপেক্ষা নয়, তিস্তার মানুষকে বাঁচাতে, উত্তর বাংলাকে বাঁচাতে নিজস্ব অর্থায়নে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। এজন্য তিস্তা কর্তৃপক্ষ গঠন করা যেতে পারে।

এ সময় আন্তর্জাতিক নদীর পানির হিস্সা লাভের ন্যায্যতা নিয়ে মওলানা ভাসানীর ফারাক্কা মার্চের উল্লেখ করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি। তিনি বলেন, সেদিন গঙ্গার পানি চুক্তি সম্পাদন সম্ভব হলেও গঙ্গা চুক্তিতে যে পরিমাণ পানির কথা ভাবা হয়েছিল তা কখনো পাওয়া যায়নি। বরং ফারাক্কাসহ গঙ্গার উজানে পানি প্রত্যাহার করার ফলে বাংলাদেশের জন্য গঙ্গার পানি প্রাপ্তি অসম্ভব পর্যায়ে পৌঁছেছে। অন্যদিকে ভারতের আন্তনদী সংযোগ পরিকল্পনা এ বিপদ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। গঙ্গা চুক্তি শেষ হওয়ার আগে ওই চুক্তির পর্যালোচনার ভিত্তিতে চুক্তির নবায়ন জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সর্বশেষ খবর