রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

দুই কারণে ফাহিম খুন নিউইয়র্কে

প্রতিদিন ডেস্ক

প্রায় চার বছর আগে নিউইয়র্কে বাংলাদেশি ফাহিম সালেহ হত্যাকান্ডের বিচারকাজ শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া তার ব্যক্তিগত সহকারী টাইরেস হ্যাসপিলের আইনজীবীরা দাবি করেছেন, চুরি ও ব্যক্তিগত ঘটনা আড়াল করতেই ফাহিমকে হত্যা করা হয়। সূত্র : সিএনএন।

ফাহিম সালেহ ২০২০ সালের ১৩ জুলাই নিউইয়র্কের নিজ অ্যাপার্টমেন্টে খুন হয়েছিলেন। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ফাহিম রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফরম পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তা ছিলেন। এই হত্যাকান্ডে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার হন হ্যাসফিল। তিনি ফাহিমের আর্থিক ও ব্যক্তিগত বিষয়গুলো দেখতেন। নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের একটি আদালতে হ্যাসপিলের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত খুন ছাড়াও অর্থসম্পদ লুট, চুরি, লাশ গুমের চেষ্টা ও আলামত নষ্টের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই আদালতে হত্যাকান্ডের বিচার শুরু হয়েছে। তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ফাহিমের মোটা অঙ্কের অর্থ (৪ লাখ ডলার) সরিয়ে ফেলেছিলেন হ্যাসফিল। বিষয়টি ধরা পড়ার পর ফাহিম ওই অর্থ পরিশোধ করার সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু হ্যাসপিল এরপরও অর্থ চুরি করছিলেন ও আইনগত পদক্ষেপের সম্মুখীন হওয়ার হুমকি পান। সরকারি কৌঁসুলিদের ধারণা, ফাহিমকে ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনামাফিক খুন করেন হ্যাসপিল। হত্যার আগে টেজার ব্যবহার করে ফাহিমকে অজ্ঞান করা হয়।  টেজারের সূত্র ধরেই হ্যাসপিলকে শনাক্ত করে পুলিশ। প্রসঙ্গত, হত্যার পর ফাহিমের শরীর খন্ডবিখন্ড করার কাজে ব্যবহৃত ইলেকট্রিক করাতসহ পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী কেনার ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যায়। কৌঁসুলিরা বলেন, ফাহিমকে খুন করার মাত্র কয়েক দিন পর নতুন বান্ধবীকে উপহার দিতে চুরি করা অর্থ ব্যবহার করেন হ্যাসপিল। তাদের মতে, দোষী সাব্যস্ত হলে হ্যাসপিল যাবজ্জীবন কারাদন্ডের মুখে পড়তে পারেন। অবশ্য তার কৌঁসুলিদের আশা, কথিত মানসিক অবস্থা বিবেচনায় সাজা লঘু হতে পারে হ্যাসপিলের।

সর্বশেষ খবর