ভারতের মাটিতে ইতিহাস গড়লেন হাসান মাহমুদ। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে প্রতিবেশী দেশটির মাটিতে ৫ উইকেট শিকার করার কীর্তি গড়লেন তিনি। গতকাল বুমরাহর উইকেট শিকার করে ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ করেন হাসান। পাশাপাশি টানা দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার করার গৌরবও অর্জন করেন তিনি। আগের টেস্টে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৩ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন হাসান।
এবার ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিলেন ৮৩ রানে। ভারতের মাটিতে এতদিন বাংলাদেশের সেরা বোলিং ছিল আবু জায়েদ রাহির (ইন্দোরে ৪/১০৮)। হাসান মাহমুদের ইতিহাস গড়ার দিনে ব্যাটিংয়ে হতাশার এক দিন দেখল বাংলাদেশ। দিনের শুরুতে তাসকিনের দুরন্ত বোলিংয়ে অল্পতেই আটকে যায় ভারত। আগের দিনে করা ৩৩৯ রানের সঙ্গে মাত্র ৩৭ রান করেই ৪ উইকেট হারায় ভারত। প্রথম ইনিংসে অলআউট ৩৭৬ রানে। তবে বোলিংয়ের এ সফলতা ব্যাটিং ব্যর্থতায় ঢাকা পড়ে। বুমরাহ, সিরাজ, আকাশ আর জাদেজার বোলিং তোপে মাত্র ১৪৯ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। টপ অর্ডার তো ব্যর্থই। মিডল অর্ডারও দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। বরং লিটন দাস আর সাকিব আল হাসান, অভিজ্ঞ এ দুই ব্যাটার আত্মঘাতী হন। একজন সুইপ শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন। আরেকজন রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে কট বিহাইন্ড। আউট হওয়ার আগে লিটন দাস ৪১ বল খেলে ২২ রান করেন। মোটামুটি সেট হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ইনিংসটা লম্বা করার সুযোগ ছিল। সাকিব ৬৩ বল খেলে ৩২ রান করে সেট হয়েছিলেন। তবে দুজনই নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হন। অথচ ভারতীয় ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজা দিন শেষে বলছিলেন, উইকেটটা ব্যাটিংয়ের জন্য ভালোই ছিল! কেবল লিটন আর সাকিবই তো নন, টপ অর্ডারের কেউই দাঁড়াতে পারেননি ভারতীয় বোলিং আক্রমণের সামনে। সাদমান ইসলাম (২ রান), জাকির হাসান (৩ রান), মুমিনুল হক (০) এবং মুশফিকুর রহিমদের (৮ রান) সাজঘরে ফেরান বুমরাহ ও আকাশ দীপরা। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৩০ বলে ২০ রান করে সিরাজের বলে কোহলিকে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে উইকেট ছাড়েন। বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ৯২ রান। শেষদিকে মিরাজ (২৭ রানে অপরাজিত), তাসকিন (১১ রান), নাহিদ (১১ রান) ও হাসানরা (৯ রান) কিছু রান যোগ করে ১৪৯ পর্যন্ত নিয়ে যান দলকে। বাংলাদেশকে ফলোঅন করানোর সুযোগ পেয়েছিল ভারত। তবে রোহিত শর্মারাই ব্যাটিংয়ে নেমে যান। দিন শেষে ভারত নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৮১ রান করে ৩ উইকেট হারিয়ে। ৩০৮ রানের লিড নিয়েছে স্বাগতিকরা। রানের পাহাড়ের নিচেই চাপা পড়ছে বাংলাদেশ।