অন্তর্বর্তী সরকারের বস্ত্র, পাট ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সার্বিকভাবে রাষ্ট্রের কাঠামো ভেঙে পড়েছে, অনেক জায়গায় মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। কাজেই দায়দায়িত্ব এখন থেকেই শুরু। অনেক রক্ত ঝরেছে। ৫০০ থেকে ৭০০ মানুষের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। তারা বলেছে কোনো অসুবিধা নেই। কাজেই আমরা যদি ঠিক করতে না পারি তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি হবে।
গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কেমন চাই’ শীর্ষক সেমিনারের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) এ সেমিনারের আয়োজন করে।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, ডিসিরা নির্বাচন করেন এ কথা ঠিক না। আইনে ৩০০ আসনে ৩০০ রিটার্নিং অফিসার দেওয়া যাবে। আবার ডিসিদের দিতে হবে এমন কোনো কথা নেই। নির্বাচন কমিশনকে ভোটের সময় সরকারের ওপর কিছুটা খবরদারির এক্তিয়ার দিতে হবে। তিনি বলেন, কীভাবে নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন করা হবে- তা গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রক্রিয়ায় তিনটি ধাপ থাকতে পারে। তৃতীয় ধাপে সংসদে সরকারি ও বিরোধী দলের মাধ্যমে দুজনের নাম চূড়ান্ত করে তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। তিনি আরও বলেন, দলের প্রার্থী হতে হলে দলের প্রাথমিক সদস্যপদে অন্তত তিন বছর থাকতে হবে। কোনো ব্যক্তি কোনো দলে তিন বছর না থাকলে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন না দেওয়া, তৃণমূলের নেতাদের মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে সরাসরি ভোটে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচন, নির্বাচনে প্রার্থীদের ব্যয় পর্যবেক্ষণে রাখার বিধান করার প্রস্তাব দেন সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার।