ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেছেন, আমরা চাই সবার সঙ্গে কথা বলে বেসরকারি খাতকে প্রাধান্য দেন। কথায় কথায় বেসরকারি খাতে প্রশাসক বসিয়ে দিয়েন না। তাদের ডেকে আনুন। তারা যদি দোষ করে থাকে, তাহলে তাদের জেলে ঢুকিয়ে দেন। আপনি একজনকে নির্দিষ্ট করে প্রচার করেন। সে যদি ঋণখেলাপি হয়, বাকি ব্যবসায়ীরা প্রত্যাখ্যান করব, বর্জন করব। সে যদি খারাপ হয় জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড় করান। এর চেয়ে বড় কাঠগড়া আর নাই। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংককে এমনভাবে শক্তিশালী করতে হবে যাতে বাংলাদেশ ব্যাংক যেন পলিটিসাইজ না হয়ে যায়। আপনি কী করে বলবেন যে বাণিজ্যিক ব্যাংক যেন দলীয়করণ না হয়, যেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দলীয় হয়ে যাচ্ছে। যেখানে বাণিজ্য সংগঠনগুলো দলীয়করণ হয়ে যাচ্ছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দলীয়করণ হয়ে যাচ্ছে। সবকিছুর রুট তো সেই পলিটিসাইজেশন। এটা করা হচ্ছে। পলিটিশিয়ানরাই করেন। আমি তাদেরকেই বলব বদলান, মানুষ বদলে যাবে।
রিজওয়ান রাহমান বলেন, ট্যাক্স দিই আমরা আর এনবিআর আমাদের শেখায় কীভাবে ট্যাক্স দিতে হবে। এনবিআরের কথা মতো যদি পলিসি হয়, তাহলে তাদের কর্মকর্তারা ১৫ লাখ টাকার ছাগল কিনতেই থাকবে আর আমরা চেয়ে থাকব। ৮-১০টা পরিবারকে এ দেশের বিলিয়নিয়র বানানো বন্ধ করেন। ৮-১০টা পরিবার কিন্তু এ দেশের ৮০ শতাংশ কর্মসংস্থান চালায় না। শ্রদ্ধার সঙ্গে বলছি, বড় বড় কারখানার মালিক, গার্মেন্ট মালিকরা কিন্তু দেশের কর্মসংস্থান রান করে না। শিল্পকারখানায় কর্মসংস্থানের ৮৫ শতাংশ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। আমাদের চোখে একটা কারখানার মধ্যে ৫০ হাজার কর্মী। তো এরকম কয়টা কারখানা বাংলাদেশে আছে। আর যারা ২০-২৫ জনের কর্মসংস্থান করে এমন লাখ লাখ কারখানা সারা দেশে আছে। তাদের নিরাপত্তা দেন। তখন শিল্পকারখানা বৃদ্ধি পাবে। ফলে মানুষের ক্রয় ও খরচ করার ক্ষমতা বাড়বে। অর্থনীতি চালায় দেশের মধ্যম আয়কারী গ্রুপ। এতে বড় কোম্পানিগুলোও ব্যবসা করতে পারবে। নিচ থেকে উপরে উঠতে হবে। আপনি যদি মনে করেন আমার ১০-২০টা পরিবারকে শক্তিশালী করতে হবে। তারাই আমার রাজনীতিতে টাকা খরচ করবে। তারাই ব্যাংক থেকে টাকা দেবে। যারা টেন্ডারবাজি করবে, তারাই আমাকে ক্ষমতায় রাখবে। এই মাইন্ড সেটে পলিটিক্স করলে দেশ এভাবেই থাকবে। জনগণকে শক্তিশালী করেন। জনগণ থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণেই আজকে এই পরিণতি।