১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) ও ইসলামী ছাত্রশিবির প্যানেল চূড়ান্ত করলেও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি। সূত্র জানান, জাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র ও রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলো সমর্থিত সম্ভাব্য ছয়টি প্যানেল অংশ নিতে যাচ্ছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ইতোমধ্যে বাগছাস ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ ও ছাত্রশিবির ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ নামে প্যানেল ঘোষণা করেছে। শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম থেকে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে আবু তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম, এজিএস (পুরুষ) পদে জিয়া উদ্দিন আয়ান এবং এজিএস (নারী) পদে মালিহা নামলাহ প্রমুখ। অন্যদিকে ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ নামে প্যানেলে ভিপি পদে আরিফুল্লাহ আদিব, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে মাজহারুল ইসলাম, এজিএস (পুরুষ) পদে ফেরদৌস আল হাসান এবং এজিএস (নারী) পদে আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা প্রমুখ রয়েছেন। গণ অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক আবদুর রশিদ জিতুর নেতৃত্বে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি প্যানেল এবং বামপন্থি শিক্ষার্থীদের দুটি প্যানেল আলোচনায় রয়েছে। তবে ছাত্রদল সমর্থিত একটি প্যানেল আলোচনায় থাকলেও এখন পর্যন্ত তাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়নি। সাধারণ শিক্ষার্থী ও সংগঠনটির একাধিক যুগ্ম আহ্বায়ক জানান, বিতর্কিতদের দিয়ে জাবি শাখা ছাত্রদলের হল কমিটি গঠনের পর থেকে সংগঠনটির নেতা-কর্মীর একটি অংশ আহ্বায়ক-সদস্যসচিবকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিদ্রোহ করেন। এর পর থেকে শাখা ছাত্রদলে গ্রুপিং ও বিশৃঙ্খলা বিরাজমান। সংগঠনটির আহ্বায়ক কমিটির একাধিক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, মূলত অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এখনো ছাত্রদলের প্যানেলের নাম ও প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি সংগঠনটি।
জাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, ‘ছাত্রদল একটি বৃহৎ সংগঠন। একই পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় প্যানেল ঠিক করতে সময় লাগছে। আমাদের প্যানেল মোটামুটি চূড়ান্ত। যে কোনো মুহূর্তে ছাত্রদলের প্যানেল ঘোষণা হতে পারে।’