লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে নিজ বাসা থেকে মা ও মেয়ের গলাকাটা অবস্থায় রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন— জুলেখা বেগম (৪২) ও তার কলেজে পড়ুয়া (রামগঞ্জ মডেল কলেজ, দ্বিতীয় বর্ষ) মেয়ে তানহা আক্তার মীম (১৮)। নিহতরা স্থানীয় কোকারিজ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের স্ত্রী ও মেয়ে। নিহতদের মরদেহ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আনুমানিক রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিহত জুলেখা বেগমের ছেলে ফরহাদ বাসায় ফিরে এসে ঘরের দরজা খোলা দেখতে পান। ঘরে তার মা ও বোনকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে দ্বিতীয় তলার একটি রুমে ঢুকে তিনি মা ও বোনের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় তার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসে এবং পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে রামগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহগুলো উদ্ধার করে। এদিকে এ ঘটনার খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তবে কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।
ব্যাবসায়ী মিজান বলেন, স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যার পর ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল বারী ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে বলেন, ঘটনা সন্দেহজনক। তদন্ত চলছে। দ্রুতই দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে দ্রুত খুনিদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানান এলাকাবাসী।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন