ঢাবির ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের দুই দিনব্যাপী ১৪তম দ্বিবার্ষিক আন্তর্জাতিক ইতিহাস সম্মেলন ও সাধারণ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতার আলোকে ইতিহাসের ভুলত্রুটি থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশকে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে পরিচালনা এবং দেশকে ঢেলে সাজানোর একটি দুর্লভ ও সুবর্ণ সুযোগ এসেছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, নতুন বাংলাদেশে গণমানুষের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে না পারলে জাতি হিসেবে আমরা পিছিয়ে পড়ব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ড. সুরাইয়া আক্তার। যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ কে এম খাদেমুল হক অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন। ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ইতিহাস যে কোনো জাতির আত্মপরিচয়ের ধারক। একটি জাতির অতীতের চেতনা, সফলতা ও আত্মত্যাগ সবকিছু ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ থাকে। এ কারণে ইতিহাস আমাদের পথচলার দিকনির্দেশক ও ভবিষ্যৎ নির্মাণের প্রেরণা। ইতিহাস শুধু বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়, ইতিহাস ছড়িয়ে আছে সংগ্রহশালায়, দলিলে, পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনে, স্থাপত্যে, বিভিন্ন গ্রন্থে ও স্মারকে। ইতিহাসের মূল্যবান উপকরণ সংরক্ষণ শুধু ইতিহাসবিদদের একার কাজ নয়। এক্ষেত্রে আমাদের নাগরিক দায়িত্ব রয়েছে। সমষ্টিগতভাবে এ দায়িত্ব পালনে আমরা ব্যর্থ হলে অনেক ঐতিহাসিক দলিল, নিদর্শন ও স্মারক সম্পূর্ণরূপে হারিয়ে যাবে। তাই ইতিহাস সংরক্ষণে প্রত্যেক সচেতন নাগরিককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে।
দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের ১৮টি পর্বে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকরা ইতিহাস বিষয়ক প্রায় ১০০টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।