সংস্কার ইস্যুতে বিএনপি সব ধরনের সহযোগিতা করছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংস্কারের বিষয়ে সরকারের অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। তবে যতই চাপ তৈরি করে বিএনপিকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করা হোক না কেন, দেশের মানুষ লড়াই করতে জানে। তারাই লড়াই করে দেশকে মুক্ত করেছে। গতকাল রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে যুবদলের গ্রাফিতি আর্টসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে হবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, জুলাই আন্দোলনে কোনো একটি দল বা ছাত্র একা আন্দোলন করেননি, শিশু-বৃদ্ধ সবাই জুলাই অভ্যুত্থানে নেমে এসেছিলেন। এই আন্দোলনে যুবদলের ৭৯ ও ছাত্রদলের ১৪২ জন শহীদ হয়েছেন। যার যা অবদান আছে, তা তাকে দিতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের চাঁদাবাজির ঘটনা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সমন্বয়কদের চাঁদা দাবির খবরে আমি বেদনায় নীল হয়ে গেছি। গণ অভ্যুত্থানের এক বছরেই এই অবস্থা। আমরা কী এমন পরিণতি চেয়েছিলাম? তিনি বলেন, গোটা দেশ তরুণদের দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু দুঃখ হয়, জোর গলায় বলতে পারছি না এ দেশ নতুন করে গড়ে উঠবে। দেশে এমন অবস্থা তৈরি করা হচ্ছে, যাতে ফ্যাসিস্টরা নতুন করে সুযোগ পায়। এ সময় দেশকে আবার কীভাবে গড়ে তোলা যায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সেই চেষ্টা করছেন বলেও জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।
বদরুদ্দীন উমরকে দেখতে হাসপাতালে : শ্বাসকষ্ট ও লো-প্রেশারের কারণে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন রাজনীতিক ও তাত্ত্বিক বদরুদ্দীন উমর। বিশিষ্ট মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী এই রাজনীতিককে দেখতে গতকাল দুপুর ১২টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তিনি বদরুদ্দীন উমরের পাশে বসে কিছু সময় কাটান এবং চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যদের কাছে থেকে তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাঁর খোঁজ নিতে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর অবস্থা অনেকটা উন্নতির দিকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে পেশাজীবন শুরু করা বদরুদ্দীন পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি এবং গণতান্ত্রিক বিপ্লবী জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী ছিলেন। ২০০৩ সালে তিনি জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল নামে একটি সংগঠন গড়ে সভাপতির দায়িত্ব নেন।