সাজ মেকআপের শেষ ধাপটি লিপস্টিক। আর তা মানতে রাজি সব রমণীই। কিন্তু সাজ মেকআপে লিপস্টিক পরারও তো কিছু কায়দা-কানুন রয়েছে। সব আয়োজনে তো আর সব ধরনের লিপস্টিক মানাবে না! যদিও সাজ নিয়ে নিরীক্ষা অনেকেরই পছন্দ। শুধু বন্ধু বা স্বজনদের পার্টি নয়, আজকাল সাজের নতুন নতুন ধারা নিয়েও আগ্রহের কমতি নেই ফ্যাশন সচেতনদের। লিপস্টিকের রং যদি ত্বক ও মেকআপের সঙ্গে না মানায় তবে ভালো দেখাবে না, বেমানান লাগবে। ঠোঁটের সাজ নির্ভর করে ব্যক্তিত্বের ওপরও। ঠোঁটের সাজ যে শুধুই পোশাকের রঙের সঙ্গে মেলােেত হবে এমনটাও নয়। পছন্দ আর ট্রেন্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়েও ঠোঁটের সাজে রং-বেরঙের লিপস্টিক বেছে নেওয়াটা জরুরি। তবে খেয়াল রাখুন যেন সাজটা বিফলে না যায়। সেক্ষেত্রে একটি কৌশল জেনে নিন তা হলো, জমকালো পোশাক আর জমকালো চোখের সাজে বরাবরই হালকা লিপস্টিক এবং সাদামাটা পোশাক আর চোখে সিধেসাদা কাজলের প্রলেপের গাঢ় লিপস্টিক বেস্ট। ‘ট্রেন্ডি কালার’ বা যুগের হাওয়ায় যেসব রঙের লিপস্টিকের চলন বেশি হবে সেগুলো সবাইকে মানায়ও না। বরং নিজের সঙ্গে মানানসই লিপস্টিক বেছে নেওয়াটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
নিখুঁত লাল ঠোঁটের জন্য
আপনার লিপস্টিক থেকে এক শেড গাঢ় লিপ পেনসিল দিয়ে ঠোঁটের আউটলাইন আঁকুন। লিপ ব্রাশ দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করুন ঠোঁটের সঙ্গে। টিস্যু দিয়ে অতিরিক্ত রং শুষে নিন। লিপলাইনের চারপাশে বুলিয়ে নিন ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার। গ্লসি দেখাতে চাইলে নিচের ঠোঁটের মাঝখানে লিপগ্লস লাগিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।
গ্লিটারে ঠোঁট রাঙাতে
গ্লিটারে ঠোঁট রাঙাতে মেকআপের বেইজ স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ উজ্জ্বল রাখুন। পোশাকের সঙ্গে মেলানো যেকোনো রঙের গ্লিটার মানাবে। কমলা লাইনারের মধ্যে গোলাপি বা লাল গ্লিটার, হালকা কোনো বেইজে একাধিক রঙের শেড, গ্লিটার লিপস্টিকে যত খুশি তত রং ব্যবহারের স্বাধীনতা থাকে। বেগুনির সঙ্গে সবুজ, কিংবা হলদেটে গাঢ় ক্রিম রঙের সঙ্গে উজ্জ্বল নীল মেলে। পশ্চিমা পোশাকের সঙ্গে গাঢ় শেডগুলো ভালো দেখাবে। আর ফুলেল ছাপের কোনো কামিজ যদি পরেন, কমলা, সবুজ, মেরুন, লাল, ম্যাজেন্টা পরতে পারেন অনায়াসে।
দীর্ঘস্থায়ী লিপস্টিক পেতে
অনেক সময় ঠোঁট ফেটে যায়, মরা চামড়া হয়, ঠোঁটের উপরিভাগ খসখসে হয়ে যায়। ঠোঁটের মরা চামড়া পরিষ্কার রাখতে হবে এবং ময়েশ্চারাইজার বা লিপবাম ব্যবহার করে নরম রাখতে হবে। পরিষ্কার নরম ঠোঁটে ইচ্ছামতো লিপস্টিক পরা যায়। লিপস্টিক পরার আগে চারপাশটা ভালো করে লিপলাইনার দিয়ে এঁকে নিতে হবে। তারপর লাইনের ভিতরের অংশে মাঝখান থেকে একটু একটু করে পুরো ঠোঁটে লিপস্টিক লাগিয়ে পাউডার হালকাভাবে চেপে লাগিয়ে নিলে আর ছড়িয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। দীর্ঘ সময় ধরে এটি স্থায়ী হবে।