প্রকৃতি এখন সেজে উঠেছে বসন্তের রঙে। কোকিলের ডাকদক্ষিণা হাওয়া আর বাতাসে আমের মুকুলের ঘ্রাণ। কিন্তু এরই সঙ্গে শুরু হয়েছে প্রকৃতির শুষ্কতা। আমাদের ত্বকেও ধরেছে টান। এই সময়ে ত্বকের প্রথম ও প্রধান সমস্যা হলো শুষ্কতা। ত্বকের উপরিভাগ ফেটে যাওয়া, ফুসকুড়ি, ব্রণ, র্যাশ আর চুলকানির উপদ্রব বেড়ে যায়। মাথা ঘুরতে থাকে- এ থেকে বাঁচার উপায় কী?
প্রথম উপায় হলো ত্বক উপযোগী একটি ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ক্রিম বেছে নেওয়া। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে ত্বকের আর্দ্রতা বৃদ্ধি করবে। তবে সব দায়িত্ব ক্রিমের ওপর ছেড়েই আপনি যে নিশ্চিন্ত থাকবেন তার উপায় নেই। কারও কারও ত্বকে ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম কিছুটা শত্রুতা করে। তখন নির্ভর করতে পারে অলিভ অয়েলের ওপর। এটি ত্বকের র্যাশ কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও এটি ত্বক কোমল ও মসৃণ করতে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়াও এটি এন্টিসেপটিক হিসেবেও কাজ করে থাকে। এ সময় রোদের তাপ বৃদ্ধি পায়। যার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা হ্রাস পায়। এ জন্য ঘর থেকে বের হওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। সানস্ক্রিনের সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে নিলে ত্বকে খুব ভালোভাবে মিশে যায়। যারা তৈলাক্ত ত্বক পছন্দ করেন না, তারা এ সময়ে গোলাপজল ও গ্লিসারিন মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক কোমল হয়। তৈলাক্ততা হয় না। এই দুটো জিনিস শুধু এই মৌসুম নয় বরং গোটা বছরই ব্যবহার করা যাবে। তাছাড়া গোলাপজল ঠোঁটের ব্যবহারের ফলে রঙ সুন্দর থাকে এবং ডেড সেল পড়ে যায়। বসন্তের এই সময়ে মেকআপ ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। বেইজ মেকআপে ড্রাই ফিনিশ থাকতে হবে। ত্বকে প্রাইমার ব্যবহার করতে হবে যেটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে। এই সময়ে ম্যাট ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা যাবে না। তাতে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যাবে। ত্বকের যতেœ শুধু মেকআপে সচেতন হলে হবে না নিজের শরীরের প্রতিও সঠিকভাবে যত্ন নিতে হবে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। দৈনিক কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করার অভ্যাস রাখলে যথেষ্ট হবে। এ ছাড়াও মৌসুমি ফল ও শাকসবজি খেতে হবে বেশি বেশি। ত্বকের সতেজতা আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের ওপরেও নির্ভর করে। তাই বেশি রাত জাগার অভ্যাস থাকলে বর্জন করার চেষ্টা করুন। মনে রাখতে হবে সুস্থ শরীর ও সতেজ ত্বকের জন্য প্রতিদিন ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস রাখলে দেহের রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকে।
পরামর্শ দিয়েছেন-
তাহমিদা হক
রূপ বিশেষজ্ঞ, গ্লিটজ অ্যান্ড নিউট্রালস বাই তাহমিদা, ঢাকা।