ডেঙ্গুর চারটি সেরোটাইপ যা ডেনভি-১, ডেনভি-২, ডেনভি-৩ ও ডেনভি-৪ এর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশে ডেনভি-৩ শনাক্ত হয় ২০১৭ সালে। ২০১৮ সালে ডেনভি-৩ এর আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে এবং ২০১৯ সালে মহামারী আকার ধারণ করে। সম্প্রতি বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর বেড়ে গেছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বেশি। এ বছরও রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতাল থেকে সংগৃহীত ২০টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষায় ডেনভি-৩ শনাক্ত হয়েছে। এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)। রবিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে ডেঙ্গু ভাইরাসের ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের তথ্য উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরে সংস্থাটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. সেলিম খান বলেন, দেশে প্রথম এই ধরন শনাক্ত হয় ২০১৭ সালে। ২০১৭ সালের আগে ডেনভি-১ ও ২ এ আক্রান্ত হয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে অনেকের। কিন্তু ডেনভি-৩ এর বিরুদ্ধে এই ক্ষমতা গড়ে ওঠেনি। যারা আগের দুই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত তারা নতুন করে ডেনভি-৩ আক্রান্ত হলে হেমোরেজ বা সংকটাপন্ন অবস্থায় পড়েছে। তাই এবার মৃত্যু বেশি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাইরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সাইফুল্লাহ মুন্সি বলেন, বিসিএসআইআরের এই সিকোয়েন্সিং ভবিষ্যতে ভ্যাকসিন উৎপাদনে সহায়ক হবে। এবার ডেঙ্গুর ডেনভি-৩ ভ্যারিয়েন্টে মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এটা ডেনভি-১, ২ এর চেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা