৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ১০:২৭

যেসব উপসর্গে বুঝবেন আপনি গলব্লাডারের পাথরের সমস্যায় আক্রান্ত

অনলাইন ডেস্ক

যেসব উপসর্গে বুঝবেন আপনি গলব্লাডারের পাথরের সমস্যায় আক্রান্ত

প্রতীকী ছবি

নারী-পুরুষ উভয়ই পিত্তথলি বা গলব্লাডারের পাথরের সমস্যায় ভোগেন। তবে পুরুষদের তুলনায় নারীদের পিত্তাশয়ে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে পিত্তথলিতে পাথর হতে পারে। বিশেষ করে খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম, মেনোপজের পর হরমোন ক্ষরণে ঘাটতি, গর্ভনিরোধক বড়ি খাওয়ার অভ্যাস, কম পানি খাওয়া ইত্যাদি কারণে গলব্লাডারে পাথর হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে।

গলব্লাডারের পাথরের কী?

পিত্তথলির পাথর ছোট ছোট বালির দানার মতো হয়ে থাকে। মটরের দানা বা তার চেয়েও বড় শক্ত দানাদার বস্তু, যা বিভিন্ন রঙের ও বিভিন্ন আকৃতির হতে পারে। এটি নির্ভর করে কী পদার্থ দিয়ে পাথর তৈরি হয় তার ওপর। কোলেস্টেরল, বিলিরুবিন বা ক্যালসিয়াম ইত্যাদি পদার্থের সংমিশ্রণে তৈরি এই পাথরগুলো পিত্তরসের সঙ্গে মেশানো অবস্থায় থাকে। হালকা বাদামি, ময়লাটে সাদা বা কুচকুচে কালো রঙের হতে পারে।

পেটের ডানদিকে যকৃতের পেছনে ও নিচের দিকে পিত্তথলি থাকে। পিত্তরস তৈরি করাই এর কাজ। খাবার হজমে, বিশেষ করে চর্বিজাতীয় খাবার হজম করতে পিত্তরস দরকার হয়। নানা কারণে পিত্তথলিতে বিভিন্ন পদার্থ জমে গিয়ে পাথরের সৃষ্টি করে। তবে নারীর তুলনায় কম হলেও পুরুষদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

কোন উপসর্গগুলো জানান দেয় যে আপনি গলব্লাডারের পাথরের সমস্যায় আক্রান্ত?

পিত্তথলিতে পাথর হলে মাংস, তেল ও মসলাজাতীয় খাবার খেলে পেটে ব্যথা হয়। সঙ্গে বমিও হতে পারে।

এক্ষেত্রে কাঁপুনি দিয়ে জ্বরও আসতে পারে। একই সঙ্গে পেটে ব্যথায় ভোগেন আক্রান্তরা।

অনেক সময় পাথর পিত্তথলি থেকে বের হতে গিয়ে পিত্তনালিতে আটকে যায় এবং তখন বিলিরুবিনের বিপাক ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার দরুন জন্ডিসও হতে পারে।

পিত্তথলিতে পাথর হলে অনেকে হেপাটাইটিসেও আক্রান্ত হন। তাই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

গলব্লাডারের মূল লক্ষণ পেটের ডান দিক থেকে ব্যথা শুরু হয়ে ডান কাঁধ পর্যন্ত পৌঁছায়। এরকম হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যান।

পেটের আলসার, যকৃতের কোনো সমস্যা এমনকি হৃদরোগেও এ উপসর্গের কাছাকাছি ধরনের ব্যথা হতে পারে বলে সেগুলোর অবস্থাও নির্ণয় করে নেওয়া দরকার।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর