‘সার্জারি ক্ষেত্রে চিকিৎসাবিদ্যার নীতি ও নৈতিকতা কঠোরভাবে অনুসরণ করা প্রয়োজন। চিকিৎসকদের আরও সতর্ক হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সচেতনভাবে ও দায়িত্বশীলভাবে সার্জারি পরিচালনা করতে হবে এবং অস্ত্রোপচারের আগে রোগীর পরিবারকে পর্যাপ্তভাবে কাউন্সেলিং করা অপরিহার্য। কোনো চিকিৎসক অন্যায় করলে তার দায় তাঁকেই বহন করতে হবে।’
‘নিরাপদ হাতে সফল পরিণতি, নারীদের অস্ত্রোপচারে আঘাত দূরে রাখি’ শীর্ষক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এসব কথা উঠে আসে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) চট্টগ্রামে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের সংগঠন অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি)-এর উদ্যোগে এবং রেনাটা পিএলসি-র সহযোগিতায় এই সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ওমর ফারুক ইউসুফ বলেন, ‘চিকিৎসা পেশায় অপ্রত্যাশিত ও দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার মুখোমুখি হওয়া প্রায় অবশ্যম্ভাবী। অনেক চিকিৎসকই জীবনে এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কারও মৌলিক অভিজ্ঞতা থাকে, তবে ইনজুরি শনাক্ত করা ও প্রাথমিক ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হয়। অস্ত্রোপচারের আগে রোগীর পরিবারকে কাউন্সেলিং করা অত্যন্ত জরুরি।’
সেমিনারে অনলাইন ও অফলাইনে তিন হাজারেরও বেশি চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত