বগুড়ায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস হতে যাচ্ছে ভোকেশনাল টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (ভিটিটিআই)। নিজস্ব জমি কিংবা স্থায়ী ভবন ছাড়াই আপাতত ভিটিটিআইয়ের অব্যবহৃত কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এর আগে ভিটিটিআইয়ে অস্থায়ী ক্যাম্পাস চালুর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এটি হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানিয়েছেন, ভিটিটিআই ভবন নিতে এখনো কোনো অনুমোদন পাননি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তিনি কোনো অর্থ বরাদ্দ পাননি। অর্থ বরাদ্দ পেলে চলতি শিক্ষা বছরই তিনি শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু করবেন। জানা গেছে, ২০০১ সালের ১৫ জুলাই জাতীয় সংসদে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। বিভিন্ন কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। ২০২৩ সালের ১০ মে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বাস্তবায়নের জন্য সরকার এসআরও জারি করে। বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১ অনুযায়ী বগুড়া জেলার জামালপুর নামক স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয় বলে উল্লেখ করা হয়। তবে সে সময় আর কোনো তৎপরতা না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবে ২০০১ সালে পাস করা আইনটিই বহাল থাকে এবং ২০১৯ সালে আইনের যে খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল সেটি রহিত করা হয়। ২০২৩ সালের ১০ মে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এতে বলা হয়, বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১-এর ক্ষমতাবলে সরকার ২২ মে থেকে আইনটি কার্যকর করার তারিখ নির্ধারণ করেছে। অন্তর্বর্তী সরকার ২০০১ সালের আইনটি কার্যকর করে বিশ্ববিদ্যালয়টি চালু করার অনুমোদন দিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ৩ জুন বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর ড. মো. কুদরত-ই-জাহানকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি ৪ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভিসি হিসেবে যোগদান করেন। আইন পাসের দুই যুগ পর বগুড়ায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের স্বপ্ন পূরণ হলো। বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. কুদরত-ই-জাহান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বগুড়া বঞ্চিত। ২০০১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৈষম্যের কারণে সেটি ২০২৫ সালে বাস্তবায়ন করা হয়। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কয়েকটি বিষয়ের চাহিদা দিয়ে আবেদন করা হয়েছে। যদি সঠিক সময়ে বিষয়গুলোর অনুমোদন দেওয়া হয় তাহলে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা যাবে। বরাদ্দের চিঠি অনুমোদন হলেও অর্থ ছাড় না হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম ও নিয়োগ প্রক্রিয়া সবই বন্ধ রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৮ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ বাজেট-১ অনুবিভাগ বাজেট-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব শাহরিয়ার জামিল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকূলে ৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকার বরাদ্দ প্রদান করেছে।
শিরোনাম
- জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি বাতিল
- সরানো হলো ডিএসসিসির প্রশাসক ও ঢাকা ওয়াসার এমডিকে
- রান তাড়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ফাইনালে ভারত
- তফসিলের পর প্রশাসন-পুলিশে রদবদলের উদ্যোগ নেবে ইসি
- ডোপ টেস্ট পজিটিভ হলে জকসুর প্রার্থিতা বাতিল
- বাড্ডায় মেট্রো লাইন স্থানান্তর শুরু, বিকল্প সড়ক ব্যবহারের পরামর্শ
- চলতি বছর ই-রিটার্ন দাখিল করেছেন ১০ লাখের বেশি করদাতা
- ‘শাপলা যদি দিতেই চান একটু ফুটাইয়া দিলে ক্ষতি কী?’
- পাপ ও প্রতিশোধের ভয়ংকর গল্প ‘কিতাব সিজ্জিন দান ইল্লিয়িন’ আসছে স্টার সিনেপ্লেক্সে
- কাশ্মীরে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের ঘোষণা পাকিস্তানের
- নিজেদের সেনাদের মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছে রুশ কমান্ডাররা
- সুদানের এল ফাশেরে ১৪ হাজারের বেশি বেসামরিক নিহত
- বিএমএ ‘হল অব ফেইম’-এ অন্তর্ভুক্ত হলেন নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী প্রধান
- তুরস্কের অনুরোধে আফগানিস্তান-পাকিস্তান ফের আলোচনায় বসছে
- মহাকাশ মিশনে যাচ্ছেন প্রথম পাকিস্তানি নভোচারী
- প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন আপিল কমিটি গঠন
- রাবিতে যাতায়াত সুবিধায় ই-কার সার্ভিস চালুর ঘোষণা
- কুমিল্লায় নিখোঁজের ৭ দিন পর শিশু আদিবার মরদেহ উদ্ধার
- ইরানের চাবাহার বন্দর নিয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ছাড় পেল ভারত
- ছাত্ররাই যুগে যুগে দেশকে রাহুমুক্ত করেছে: টুকু
বগুড়ায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস
আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর