আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম আরেক দফা কমলো। সোমবার ৩ শতাংশ দর কমে ব্র্যান্ট তেলের ব্যারেলপ্রতি দর ৩১.২৫ ডলারে নেমে এসেছে। এর আগে, শুক্রবার সপ্তাহের শেষ দিনে ১০ শতাংশ দর বেড়েছিল। দর কমার প্রভাব দেশের বাজারে না পড়লেও উল্লেখযোগ্য পরিমান তেল চুরি ও অপচয়ের পরও লাভের মুখ দেখছে চিরাচরিত লোকসানি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।
অপরদিকে, ইউএস শেল তেলের দর ১.০২ ডলার কমে ৩১.৭ ডলারে লেনদেন হচ্ছে। রেকর্ড পরিমাণ তেল উৎপাদনে ইরাকের দেওয়া ঘোষণার পরই তেলের বাজারে এ পতন হয়েছে।
সোমবার ইরাক জানিয়েছে, গত ডিসেম্বর মাসে দেশটি রেকর্ড পরিমাণে তেল উৎপাদন করেছে। এ মাসে প্রতিদিন তারা ৪.১৩ মিলিয়ন ব্যারেল অতিরিক্ত তেল উৎপাদন করেছে।
ইরাকের এমন ঘোষণার কারণে তেলের বাজারে পতন হয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। হল্যান্ডের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক এবিএন আমরোর জ্বালানি বিষয়ক সিনিয়র অর্থনীতিবিদ হ্যান ভ্যা ক্লিফ বলেন, ইরাকের ঘোষণার কারণে তেলের অতিরিক্ত সরবরাহের বিষয়টি ফের বাজারে মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব ফেলেছে। বাড়তি যোগানের কারণে বাজারে মন্দা চলছে ও তেলের দর কমছে।
এদিকে, তেল উৎপাদনকারী সব দেশ একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে ওপেকের সদর দফতর থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
ওপেকের মহাসচিব আবদুল্লাহ আল বদরি বলেন, ওপেক ও ওপেক বহির্ভূত সব দেশকে তেলের অতিরিক্ত সরবরাহ কমিয়ে তেলের দর বাড়ানোর বিষয়ে কাজ করতে হবে। লন্ডনে সংবাদ সম্মেলন তিনি বলেন, 'তেলের অতিরিক্ত মজুদের বিষয়টি বাজারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এর আগেও আমরা দেখেছি, যখন মজুত কমতে শুরু করে তখনই দর বাড়তে শুরু করে।'
ওপেকের মহাসচিব আরও বলেন, তেল উৎপাদনকারী বড় বড় দেশগুলোর অবশ্যই মজুদ কমিয়ে তেলের দর বাড়ানোর বিষয়ে ঐকমত্যে আসা উচিত। তিনি বলেন, বর্তমানে তেলের যে বাজার দর রয়েছে সেটা ভবিষ্যতের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করেছে।'
প্রসঙ্গত, সারাবিশ্বে তেল উৎপাদনের ৪২ শতাংশই করে থাকে ওপেকভুক্ত দেশগুলো। সূত্র : বিবিসি।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ জানুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ