নয়াদিল্লির রাইসিনা হিলসে ভারতীয় রাষ্ট্রপতি সরকারি বাসায় জমকালো ইফতার পার্টি দিলেন দেশটির রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। গতকাল শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ভবনের কালচার সেন্টারে আয়োজিত এই ইফতার পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের শীলা দিক্ষিত, সিপিআইএম সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সহ একাধিক মন্ত্রী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা। ইফতারে অংশ নিয়েছিলেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি এবং বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এবং মুসলিম নেতারা।
তবে গত দুইবারের মতো এবারও ইফতার পার্টিতে হাজির হননি দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সরকারের তরফে এই ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নাকভি। ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে দিল্লির বাইরে থাকায় রাষ্ট্রপতির দেওয়া ইফতার পার্টিতে নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত না থাকলেও গতকাল দিল্লিতে থাকলেও ইফতারে অংশ নেন নি। তবে একটি সূত্র বলছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে থাকার কারণেই মোদি অনুপস্থিত ছিলেন। যদিও মোদির সচিবালয় থেকে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে এক ই-গ্রিটিং নকশার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। সেরা তিন প্রতিযোগীকে আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার পাশাপাশি সেরা ছবিকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পোর্টালেও সেই ছবিটি স্থান পাবে।
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে রাজনৈতিক ইফতার একটা রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশটির প্রায় সব রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীরা তাদের সরকারি বাসভনে ইফতার পার্টি দিয়ে থাকেন। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত এ.পি.জে.আবদুল.কালাম। তিনিই প্রথম রাষ্ট্রপতি ভবনে বার্ষিক ইফতার বন্ধ করেছিলেন। জনগনের রুপি কোন ধর্ম ভিত্তিক খাওয়া-দাওযায় খরচ করার বিপক্ষে ছিলেন কালাম। যদিও কালামের উত্তরসুরী হিসাবে ২০০৭ সালে ফের ইফতার পার্টি চালু করেন ভারতের প্রথম নারী রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল। আসলে দিল্লির ক্ষমতার অলিন্দে ইফতার সবসময়ই প্রচার পেয়ে আসছে যে, কে কার ইফতারে অংশ নিচ্ছেন আর কারা কারা সেটা পছন্দ করেন না।
বিডি-প্রতিদিন/ ০২ জুলাই, ২০১৬/ আফরোজ
