এগারো বছর আগে শ্রমজীবী এক্সপ্রেস ট্রেনে বিস্ফোরণ মামলায় এক বাংলাদেশি নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরের একটি আদালত।
রবিবার মোহম্মদ আলমগীর ওরফে রনি নামে জঙ্গি সংগঠন হরকত-উল-জিহাদ আল-ইসলামি (হুজি)-এর সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পাশাপাশি ৭ লাখ রুপি জরিমানাও ধার্য করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা হাকিম বুধিরাম যাদব। এর আগে গত শুক্রবার মোহম্মদ আলমগীরকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ধর্ষণ, খুনের চেষ্টা, ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আলমগীরকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। পাশাপাশি রেলওয়ে আইনের বিস্ফোরক দ্রব্য বহনের অভিযোগও ছিল তার বিরুদ্ধে। এই মামলার আরেক অভিযুক্ত উবেদ-উর-রহমানের বিষয়ে রায় ঘোষণা করা হবে আগামী ২ আগস্ট।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৮ জুলাই উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরের কাছে হরিহর ক্রসিং-এ পাটনা থেকে দিল্লিগামী শ্রমজীবী এক্সপ্রেসে বিস্ফোরণে ১২ জন নিহত হয়, আহত হয় অন্তত ৬০ জন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জৌনপুরে সাদা স্যুটকেস সঙ্গে নিয়ে ট্রেনে উঠেছিলেন দুই ব্যক্তি। কিন্তু, কিছুক্ষণ পরই ট্রেন থেকে লাফিয়ে নেমে পালায় তারা। এর কয়েক মিনিটের মধ্যে বিস্ফোরণটি ঘটে। জানা যায়, কামরায় শৌচাগারে রেখে দেওয়া আরডিএক্স থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল।
ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় আলমগীর ও উবেদ ছাড়াও নাফিকুল বিশ্বাস, সোহাগ আলি ওরফে হিলাল নামের আও দুই বাংলাদেশি নাগরিক আটক হয়। এরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশি হুজির সদস্য। নাফিকুল ও হিলাল অন্য একটি মামলায় হায়দ্রাবাদের জেলে রয়েছে। শ্রমজীবী ট্রেনে বিস্ফোরণ মামলার আরেক অভিযুক্ত শরিফ পলাতক। অন্যদিকে মামলার বিচার চলার মধ্যেই গুলাম রাজদানি ও সাঈদ নামে দুুই অভিযুক্ত মারা যায়।
বিডি-প্রতিদিন/৩১ জুলাই, ২০১৬/মাহবুব