খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরু না ত্রিপুরার বিরুদ্ধে ১৪ সদস্যের অভিযোগ দাখিলের ২ দিনের মাথায় চেয়ারম্যানের সকল কার্যক্রম থেকে তাকে বিরত রাখার নির্দেশ দিয়েছে পার্বত্য মন্ত্রণালয়।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরু না ত্রিপুরার বিরুদ্ধে পরিষদের ১৪ জন সদস্য দুর্নীতি, অনিয়ম, শিক্ষক বদলি বাণিজ্য, ঠিকাদারদের কাছ থেকে ঘুষ, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে অসৎ আচরণ, স্বেচ্ছাচারিতা সহ নানা অভিযোগ পার্বত্য উপদেষ্টার কাছে দাখিল করা হয়।
অভিযোগ দাখিলের ২ দিনের মাথায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরু না ত্রিপুরাকে জেলা পরিষদের সকল প্রকার কার্যক্রম থেকে বিরত খাতার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
সোমবার পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলীমা বেগম স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে এ নির্দেশ প্রদান করা হয়।
নির্দেশে বলা হয়, ১৪ সদস্যের লিখিত অভিযোগটিতে সদস্যদের অবমূল্যায়ন, খারাপ আচরণ, হস্তান্তরিত বিভাগের প্রধান ও কর্মচারীদের সাথে অসৎ আচরণ, স্বজনপ্রীতি, শিক্ষক বদলি বাণিজ্য, ঠিকাদার বিলের ফাইল আটকে ঘুষ বাণিজ্য ও চরম দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পার্বত্য জেলা পরিষদের সকল প্রকার কার্যক্রম হতে বিরত খাকার জন্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরু না ত্রিপুরাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
জেলা পরিষদের অন্যতম সদস্য সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল লতিফ জানান, শনিবার আমরা ১৪ জন সদস্য স্বাক্ষর করে একটি টিম পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে দেখা করে জিরু না ত্রিপুরার এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয় নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
পরিষদ সদস্য নিটুল মণি চাকমা বলেন, আমরা সদস্য প্রশান্ত ত্রিপুরাসহ একটি টিম পার্বত্য মন্ত্রণালয়ে গিয়ে উপদেষ্টার কাছে অভিযোগ দাখিল করি।
দু’জন সদস্য জানান, অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সোমবার থেকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরু না ত্রিপুরার সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।
অভিযোগে জানানো হয়, শব্দমিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষককে শিক্ষা বিভাগের নিয়ম-নীতি ও শিক্ষাবিভাগের আহ্বায়ক প্রফেসর আব্দুল লতিফকে উপেক্ষা করেই নজরুল ইসলাম নামে একজনকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ নিয়ে বদলি করেন।
চেয়ারম্যান জিরু না ত্রিপুরার সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশের বিষয়টি খাগড়াছড়ি শহরে পৌঁছালে ‘টক অব দ্য টাউন’-এ পরিণত হয়।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল