ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে উরির সেনা হেডকোর্টারে জঙ্গি হামলায় দায়ীদের কোন মতেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার সকালে উরি সেক্টরে জঙ্গি হামলায় নিহত হয় ১৭ জওয়ান, আহত হয়েছে ৩০ জন। ওই ঘটনার পরই নাম না তুলে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দেয় ভারত।
জঙ্গি হামলার ঘটনাকে কাপুরুষোচিত বলে অভিহীত করে ট্যুইটে মোদি বলেন, 'উরি সেনাক্যাম্পে জঙ্গি হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আমি দেশবাসীকে আশ্বস্থ করে বলতে চাই যে, হামলায় জড়িত কাউকেই ছাড়া হবে না।'
হামলার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পারিকরের সঙ্গেও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
উরিতে জঙ্গি হামলা নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও। পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক মহলে একঘরে করে রাখারও ডাক দিয়েছেন তিনি। রাশিয়া ও আমেরিকা সফর বাতিল করে এ দিনই দিল্লিতে জরুরি বৈঠক ডাকেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব মেহর্ষি, আইবি ও 'র' এর শীর্ষ কর্মকর্তারা। ছিলেন সেনাবাহিনীর অপারেশনস শাখার প্রধান (ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশন বা ডিজিএমও) লেফট্যানেন্ট জেনারেল রনবীর সিং।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসবাদীদের প্রতি পাকিস্তানের লাগাতার সমর্থনে আমি নিরাশ। আমাদের কাছে নির্দিষ্ট প্রমাণ আছে যে, উরি হামলাকারীরা অত্যন্ত প্রশিক্ষিত এবং তাদের সঙ্গে প্রচুর অস্ত্রসস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম ছিল। পাকিস্তান একটি সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র এবং পাকিস্তানকে এভাবেই চিহ্নিতকরণ ও একঘরে করে রাখা উচিত।
এদিকে উরি হামলাকারীরা পাক মদদপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ এর সদস্য বলে জানিয়েছেন ডিজিএমও লেফট্যানেন্ট জেনারেল রনবীর সিং।
উরির জঙ্গি হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী।
প্রসঙ্গত, এদিন ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বারামুলা জেলায় আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে উরিতে সেনার ১২ নম্বর ব্রিগেডে আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা। জঙ্গিরা সংখ্যায় ৩ থেকে ৪ জন ছিল বলে খবর। জঙ্গিদের ওই দলটি সেনা সদর দফতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা গুলি চালায় সেনা জওয়ানরাও। সেনার গুলিতে মারা যায় ৪ জঙ্গিও।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ