পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানিবন্টন চুক্তি বাতিল না হলেও কড়া অবস্থান নেওয়ার পথেই হাঁটতে চলেছে ভারত। সূত্রে খবর, পাকিস্তানকে অতিরিক্ত পানি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। ১৯৬০ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে হওয়া সিন্ধু চুক্তির বিষয়টি পর্যালোচনা করতে সোমবার দিল্লিতে এক শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে এই বার্তাই দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বৈঠকেই মোদি জানিয়ে দেন যে, ‘রক্ত ও পানি কখনও একসঙ্গে বইতে পারে না’। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, পররাষ্ট সচিব এস.জয়শঙ্কর পানি সম্পদ উন্নয়ন সচিব শশী শেখর, প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নিপেন্দ্র মিশ্র এবং প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের কর্মকর্তারাও।
সম্প্রতি কাশ্মীরের উরির সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলা ১৮ জওয়ান নিহত হওয়ার পরই ইসলামাবাদকে কোণঠাসা করার উদ্যেগ নিয়েছে দিল্লি। হামলার ঘটনায় ভারতজুড়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে বদলা নেওয়ার দাবি ওঠে। এমনকি পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানি বন্টন চুক্তি বাতিলেরও দাবি ওঠে ভারত জুড়ে। যদিও যুদ্ধের বদলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার কূটনৈতিকভাবেই পাকিস্তানকে একঘরে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই পাকিস্তানের ওপর আরও চাপ বাড়াতে সিন্ধু পানি বন্টন চুক্তির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এদিন বৈঠক করেন মোদি।
সিন্ধু চুক্তি নিয়ে কয়েকদিন আগেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ বলেন, এই ধরনের যে কোন চুক্তি কার্যকর করার ক্ষেত্রে দুই দেশের পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতা থাকাটা ভীষণ জরুরি। এটা একতরফা হতে পারে না। সেই পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে সিন্ধু চুক্তি বাতিল হতে পারে বলে দিল্লির রাজনীতিতে জল্পনা ছড়িয়েছিল। কিন্তু উরির হামলার পর পাকিস্তানকে আর বেশি সুবিধা দিতে রাজি নয় ভারত।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ