সম্প্রতি 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' শব্দটি নতুন করে আলোচনায় আসে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ভারতীয় স্পেশাল ফোর্সের প্যারা-কমান্ডোদের অভিযানের পরপরই। যদিও মিয়ানমারেও একই ধরেনের অভিযান চালিয়েছিল ভারত। লক্ষ্যবস্তু ঠিক রেখে পরিকল্পিত ভাবে অতি অল্প সময়ে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে শত্রুকে ঘায়েল করে ফিরে আসার বিশেষ অভিযানই 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক'।
বহিরাগত বা অভ্যন্তরীণ শত্রু, সংস্থা বা সংগঠন- যে কোনো লক্ষ্যবস্তুতে 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' সব সময়ে হঠাৎ করে অভিযান পরিচালনা করে থাকে। আগে থেকে এরকম অভিযানের খবর ঘোষণা করা হয় না। অত্যন্ত দ্রুত গতিতে শত্রুদের গোপন আস্তানা বা সুড়ঙ্গ বা কোনো দুর্গম, দুর্ভেদ্য ঘাঁটিতে এ অভিযান চালানো হয়ে থাকে। শত্রুদের ঘাঁটিগুলো গুঁড়িয়ে দিয়ে আসার পর সেনাবাহিনী আর সেই এলাকায় অবস্থান করে না। অভিযান সফল হতেই সেনাবাহিনী নিজ দেশে বা তার আগের অবস্থানে ফিরে আসে। অভিযানে সেনাবাহিনী শত্রুদের আটক বা গ্রেফতার করে না। তাদের একেবারে ধ্বংস করে দেয়।
গত কয়েক দিন আগেই পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ঢুকে এরকম অভিযান চালায় ভারতীয় প্যারা-কমান্ডোরা। মধ্যরাতের ওই 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে' সাতটি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়ার দাবি করেছে ভারতীয় স্পেশাল ফোর্স।
জানা যায়, স্পেশ্যাল ফোর্স হিসেবে পরিচিত এই বাহিনীর নির্দিষ্ট নাম রয়েছে। কৌশলগত কারণে এদের পোশাকি নাম প্রকাশ করা থাকে না। তবে এই স্পেশ্যাল ফোর্সের প্রত্যেক সদস্য হলেন এক এক জন প্যারা-কম্যান্ডো। সেনাবাহিনীতে যে সাধারণ প্রশিক্ষণ হয়, এই প্যারা-কম্যান্ডোদের প্রশিক্ষণ তার চেয়ে অনেক উন্নত মানের এবং অনেক বেশি কঠিন। বিশেষ অভিযান এবং নিখুঁত অভিযানই এই বাহিনীর একমাত্র কাজ। এই স্পেশ্যাল ফোর্সের অস্ত্রশস্ত্রও আলাদা হয়ে থাকে। অপেক্ষাকৃত ছোট এবং হালকা রকমের অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করে স্পেশ্যাল ফোর্স। কিন্তু সেই সব আগ্নেয়াস্ত্র অতি উচ্চ মাত্রায় স্বয়ংক্রিয় যা মারণ আঘাত হানতে সক্ষম।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার