করাচি বিমানবন্দরে গত সোমবার নির্দেশ জারি করা হয়, কোনো বিদেশি বিমান সংস্থার বিমান আকাশে ৩৩ হাজার ফুটের নিচ দিয়ে উড়তে পারবে না। সম্প্রতি ঘোষণা দিয়ে পাক প্রশাসন সেই উচ্চতা আরও কমিয়ে দিয়েছে। বলা হয়েছে, লাহোরের আকাশে ২৯ হাজার ফুটের নিচ দিয়ে কোনো বিদেশি বিমান সংস্থার বিমানই উড়তে পারবে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নির্দেশনা খুবই ইঙ্গিতবাহী। করাচির আকাশ-সীমার ওপর দিয়ে ওড়ার জন্য যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, সেটি ছিল এক সপ্তাহের জন্য। কিন্তু লাহোরের ক্ষেত্রে সেই সময়-সীমাটি অনেকটা লম্বা। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। যেহেতু যুদ্ধবিমানগুলি আকাশে খুব অল্প উচ্চতায় ওড়ে, তাই সেগুলির মহড়া বা আগামী দিনে বৃহত্তর প্রয়োজনে সেগুলির ব্যবহারের জন্যই হয়তো এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে পাকিস্তানে।
এদিকে, বিমান সংস্থাগুলির আশঙ্কা এর ফলে পাকিস্তানের ওপর দিয়ে ওড়া বিমানগুলির চলাচলে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এই পরিস্থিতিতে ভারত কি তাহলে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও উপসাগরীয় দেশগুলিতে যাওয়ার জন্য কোন বিকল্প রুটের কথা ভাবছে? এ প্রসঙ্গে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রণালণয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, সরাসরি জম্মু-কাশ্মীরের ওপর দিয়েই বিমানগুলিকে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। তারপর এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানগুলি ঢুকে পড়বে চীনের আকাশ-সীমায়। সেখান থেকে বাঁ দিকে ঘুরে যাবে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানগুলি। তবে সেটা চীনা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আনন্দবাজার পত্রিকা।
বিডি-প্রতিদিন/ ০২ অক্টোবর, ২০১৬/ আফরোজ