ভারতে হামলার জন্য কমপক্ষে ২৫০ জঙ্গি কাশ্মীরে ঢুকে পড়েছে। এর মধ্যে ১০৭ জন উপত্যকার স্থানীয় যুবক, বাকিরা পাকিস্তানের নাগরিক। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর, ওই বিপুল সংখ্যক জঙ্গি হিজবুল মুজাহিদিন ও লস্কর-ই-তৈয়বা'র সদস্য।
গোয়েন্দাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আশঙ্কা, গত ২৯ সেপ্টেম্বর পাক শাসিত কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের আগেই কাশ্মীরে ঢুকে পড়ে ওইসব জঙ্গিরা। এখনও কাশ্মীরেই আত্মগোপন করে রয়েছেন তারা।
শীত আসতে আর বেশি দেরি নেই। ঠাণ্ডার সময়ে কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) অধিকাংশ জায়গায় বরফ পড়ে। ফলে সেই সময়ে ওইসব জায়গা দিয়ে ভারতে ঢোকা প্রায় অসম্ভব। আর তাই আগেই জঙ্গিরা কাশ্মীরে আশ্রয় নিয়েছেন। জঙ্গিদের কাছে স্পষ্ট নির্দেশ আছে যে সুযোগ পেলেই যেন তারা ভারতে হামলা চালায়।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য হিসাব যদি সঠিক বলে ধরে নেওয়া হয়, তবে এটাই হবে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচে' বড় অনুপ্রবেশের ঘটনা। পাক শাসিত কাশ্মীর থেকেই মূলত এসব জঙ্গিরা ভারতে ঢুকেছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ সেখানেই রয়েছে জঙ্গিদের একাধিক প্রশিক্ষণ শিবির। এরা প্রধাণত লস্কর ও হিজবুলের সদস্য। সার্জিক্যাল স্টাইকের পর এই দুই সংগঠন ভারতে আরও জঙ্গি হামলার কথা ঘোষণা করেছে।
এদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জম্মু-কাশ্মীরের সীমান্তের নিরাপত্তাবাহিনীর কর্মীদের চূড়ান্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং জঙ্গি হামলা রোখার জন্য আগাম প্রস্তুত থাকার সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছে। জঙ্গিদের খোঁজে জোর অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বিডি-প্রতিদিন/ ১১ অক্টোবর, ২০১৬/ আফরোজ