টাকা না পেলে খদ্দেরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনতে পারবেন না কোনও যৌনকর্মী। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত এ রায় দিয়েছেন। ভারতে টাকা দিতে অস্বীকার করলে খদ্দেরকে ‘উচিত শিক্ষা’ দিতে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়ে থাকে। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।
এবার সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, এমনটা করা যাবে না। বিচারক পিনাকীচন্দ্র ঘোষ ও অমিতাভ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানান, এমন অভিযোগ আনলে সেই যৌনকর্মীকে প্রমাণ করতে হবে যে তিনি ধর্ষিতা হয়েছেন। তার মুখের কথা বিশ্বাস করা হবে না।
বেঙ্গালুরুর এক যুবতী তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনার পরই এই আইন বলবৎ হল। ২০ বছরের ওই যুবতী জানান, তিন ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করে। অভিযুক্ত তিন ব্যক্তি কর্নাটক হাই কোর্টে এই অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ জানান। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ওই যুবতীর রুমমেটকে জেরা করা হয়।
জেরায় সাক্ষী হিসেবে রুমমেট জানান, দিনে লোকের বাড়িতে ঠিকে কাজ করেন ওই যুবতী। আর রাতে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করেন। অভিযুক্তদের থেকে মাঝে মধ্যেই আর্থিক সাহায্য নিতেন তিনি। ওই ব্যক্তিদের থেকে এক হাজার টাকা চেয়েছিলেন যুবতী। কিন্তু তারা দিতে অস্বীকার করে।
এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, অভিযুক্তরা আর্থিক চাহিদা পূরণ করতে বাধ্য হবেন- এই জন্যই ওই অভিযোগ আনেন যুবতী।
বিডি প্রতিদিন/১২ অক্টোবর, ২০১৬/ফারজানা