বিয়ের পরে শারীরিক সমস্যা ছাড়া স্ত্রী যদি স্বামীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে অস্বীকার করে তবে তা মানসিক নির্যাতন হিসেবে ধরা হবে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী ডিভোর্স চাইতে পারেন বলে রায় দিয়েছেন ভারতের দিল্লি হাই কোর্ট।
বুধবার এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি প্রদীপ নন্দ্রাযোগ ও প্রতিভা রানির ডিভিশন বেঞ্চ।
স্ত্রী সাড়ে চার বছর ধরে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে অস্বীকার করছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। ২০০১ সালে বিয়ে হয় তাদের। ২০১৩ সালে যখন নিজের অভিযোগ ট্রায়াল কোর্টে জানান, সেই সময় ১০ ও ৯ বছরের দুই সন্তান রয়েছে এ দম্পতির। স্বামীর অভিযোগ, গত সাড়ে চার বছর ধরে স্ত্রী তাকে কাছেই ঘেঁষতে দেন না। পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন। ‘হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্ট, ১৯৫৫’র ভিত্তিতে ডিভোর্স চেয়েছিলেন তিনি। তবে ট্রায়াল কোর্ট স্বামীর অভিযোগ খারিজ করে দেয়।
এরপরই দিল্লি হাই কোর্টে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন হরিয়ানার ওই ব্যক্তি। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই বিচারপতি প্রদীপ নন্দ্রাযোগ ও প্রতিভা রানির ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেন। অকারণে দীর্ঘ সময় ধরে স্বামীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে স্ত্রী অস্বীকার করলে তা স্বামীর মানসিক নির্যাতন হিসেবে ধরা যেতেই পারে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী ডিভোর্স পেতেই পারেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৩ অক্টোবর, ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন