ফিলিপাইনে চলতি বছরের ‘সবচেয়ে ক্ষতিকর ঝড়’ সারিকা আঘাত হানতে যাচ্ছে। দেশটির কর্মকর্তারা শনিবার একথা জানান।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, ঝড়টি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১শ’ ৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে। এর প্রভাবে ইতোমধ্যেই ফিলিপাইনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ দ্বীপ কাতান্ডুয়ানেসের বিদ্যুৎ ও টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
সরকারের আবহাওয়া পূর্বাভাসকারী বেনিসন এস্তারেজা বলেন, চলতি বছর ফিলিপাইনে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় না হলেও সারিকার আঘাতে দেশটিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে।
সারিকা ম্যানিলার সামান্য উত্তর দিয়ে বয়ে যেতে পারে। এলাকাগুলো সবচেয়ে বেশি জনবহুল।
বেনিসন বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেন, ‘আমরা রাডারের মাধ্যমে দেখেছি যে ঝড়টি অত্যন্ত ধ্বংসাত্মক। এটি কাঠের তৈরি বাড়িগুলোকে ধ্বংস করতে পারে এবং গাছপালাকে উপড়ে ফেলতে পারে। ঝড়টি বাড়ির ছাদও উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘এটা এখন পর্যন্ত ফিলিপাইনে চলতি বছরের সবচেয়ে ক্ষতিকারক ঝড় হতে পারে।’
এই পূর্বাভাসকারী আরো বলেন, টাইফুন সারিকা রবিবার ভোরের আগে ফিলিপাইনের প্রধান দ্বীপ লুজনের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত আরোরা প্রদেশে আঘাত হানবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, রোববার সন্ধ্যা নাগাদ ঝড়টি লুজানের মধ্যাঞ্চলের ওপর দিয়ে সাগরের দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘অধিকাংশ মানুষই লুজনের ওই অংশে বাস করেন। তাই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হবে। এমনকি ঝড়টির কারণে মেট্রোপলিটন ম্যানিলাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
বেসামরিক প্রতিরক্ষা দপ্তরের নারী মুখপাত্র র্যাচেল মিরান্ডা বলেন, ঝড়ের কারণে কাতান্ডুয়ানেস দ্বীপের ২ লাখ ৪৬ হাজারের বেশি বাসিন্দার বিদ্যুৎ ও টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
কর্মকর্তারা জানান, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ওই এলাকাগুলোর ৪ শতাধিক বাসিন্দাকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে এবং সেখানে সমুদ্র ও আকাশ পথে ভ্রমণ বাতিল করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ১৫ অক্টোবর ২০১৬/ এনায়েত করিম