বিতর্ক আর সমালোচনা যেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের পিছুই ছাড়ছে না। সম্প্রতি ২০০৫ সালের একটি ভিডিও চিত্র বের হয় যেখানে ট্রাম্প নারীদের নিয়ে চরম অবমাননাকর কথা বলেছেন। সেখান থেকে বিতর্কের শুরু। তারপর একের পর এক যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। আর এই যৌন হয়রানির ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন বেশ বেকায়দায় রয়েছেন। এখন পর্যন্ত আটজনের মতো নারী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন। ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে সে তালিকা।
এবার তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন আরেক নারী। তার নাম ক্যাথি হেলার। ৬৩ বছর বয়সী হেলার তার নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া এ যৌন হেনস্তার ঘটনা এতদিন পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। এইবারই সর্বপ্রথম তিনি তার এই হয়রানির কথা সবার সামনে আনলেন।
ক্যাথি হেলার জানান, "প্রায় ২০ বছর আগে যখন ট্রাম্পের সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাৎ হয়। আর প্রথম সাক্ষাৎ এই তিনি ট্রাম্পের দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হন।"
হেলার আরও বলেন, "ট্রাম্প প্রথম দর্শনেই তাকে কাছে টেনে নেন। জোর করে চুমু দিতে চান। আর এ আহ্বানে সাড়া না দেয়ায় তার উপর ট্রাম্প ক্ষেপেও গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প তাকে জোর করেই চুমু খান"
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই নারীদের নিয়ে কুৎসিত ও নোংরা মন্তব্যের কারণে বেকায়দায় পড়েন ট্রাম্প। তবে ট্রাম্প এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন।
রবিবার এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, "আমার বিরুদ্ধে যেসব নারী অভিযোগ তুলেছেন তাদের সঙ্গে আমার কোনো কিছু হয়নি। নির্বাচনে আমাকে হারানোর জন্যই এসব অভিযোগ তোলা হয়েছে। যেখানে আমার চেয়ে নারীদের বেশি সম্মান কেউ করে না।"
এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন ক্রিস্টিন অ্যান্ডারসন, সামার জেরভস, সাবেক মিস ইউনিভার্স অ্যালিসিয়া মাচাদো, মিস অ্যারিজোনা টাশা ডিক্সন, জেসিকা লিডসসহ বেশ কয়েকজন নারী।
বিডি-প্রতিদিন/১৭ অক্টোবর, ২০১৬/তাফসীর