মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন চলছে। পুরো বিশ্ব তাকিয়ে সেদিকে। যেখান থেকে আমেরিকানরা বেছে নেবেন তাদের ৪৫তম প্রেসিডেন্টকে। প্রেসিডেন্ট বাছতে ৫০টি স্টেট এবং ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ায় ব্যালটে ছাপ মারতে শুরু করেছেন সাধারণ ভোটদাতারা। তাদের রায় কী হবে, জানতে অপেক্ষায় থাকতে হবে কয়েক ঘণ্টা।
কিন্তু এই সাধারণ ভোটারদের ভোটে কিন্তু সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন না। প্রেসিডেন্ট আসলে নির্বাচিত হবেন আমেরিকার ৫০ প্রদেশ এবং ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার মোট ৫১টি ইলেক্টোরাল কলেজের সদস্যদের ভোটে।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই নির্বাচন প্রক্রিয়া :
আমেরিকার ইতিহাসে এমন ঘটনাও ঘটেছে যে সাধারণ মানুষের ভোটে পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে এগিয়ে গিয়ে জয়ী হয়েছেন কোনো প্রার্থী।
২০০০ সালে রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ ডব্লিউ বুশ ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অ্যাল গোরের চেয়ে কয়েক লাখ ভোট কম পেয়েছিলেন। কিন্তু যে সব স্টেটে বুশ জয়ী হয়েছিলেন, সেই সব স্টেটে ইলেক্টরের সংখ্যা বেশি হওয়ায়, তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। অর্থাৎ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দু’টি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১. সামান্য ব্যবধানে জয়ী হলেও, যত বেশি সম্ভব স্টেটে জয়ী হওয়া জরুরি।
২. যে সব রাজ্যে ইলেক্টরের সংখ্যা বেশি, সেই সব রাজ্যে জয়ী হওয়া জরুরি।
বিডি প্রতিদিন/ ০৮ নভেম্বর ২০১৬/ এনায়েত করিম-১