যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ঘোষণা দিয়েছেন, 'নির্বাচনে জয়ী হলে ভোটের ফল মেনে নেবেন তিনি। অন্যথায় মেনে নেবেন না।'
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ছয়টায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এই ৫৮তম নির্বাচনের মাধ্যমে দেশটির জনগণ তাদের ৪৫তম প্রেসিডেন্টকে বেছে নেবেন। এই নির্বাচন চলাকালে তিনি আবারও এ ঘোষণা দিলেন।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) ভোটের লড়াইয়ের আগে প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেট পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে তৃতীয় ও শেষ বিতর্কের পর ওহিও’র ডেলাওয়ারে এক সমাবেশে ট্রাম্প একই কথা বলেন।
ওই দিন রাতে লাস ভেগাসের নেভাডা ইউনিভার্সিটিতে সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ওই বিতর্কে ভোটের ফল মেনে নিতে নাও পারেন বলে ইঙ্গিত দেওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিতে আসা রিপাবলিকান প্রার্থী। তারপরও মঙ্গলবার একই ইঙ্গিত দিলেন তিনি।
ওই বিতর্কের সঞ্চালক ফক্স নিউজের উপস্থাপক ক্রিস ওয়ালেস ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, 'নির্বাচনে হারলে তিনি কি তা মেনে নেবেন?'
জবাবে ট্রাম্প বলেছিলেন, 'আমি তোমাকে সাসপেন্সের মধ্যেই রাখতে চাই। আমি তোমাকে ওই সময়ে বলব।' পরে ওহিও’র সমাবেশে হাসতে হাসতে ট্রাম্প বলেন, “আমার সব ভোটার ও সমর্থক এবং যুক্তরাষ্ট্রের সব মানুষের কাছে আমি অঙ্গীকার করছি যে, এই মহান ও ঐতিহাসিক ভোটের ফল আমি পুরোপুরি মেনে নেব ‘যদি আমি জয়ী হই’।'
এই নির্বাচনে ‘আমাদের দেশের স্বচ্ছতা’ নিয়ে প্রশ্ন তোলার ঝুঁকি থাকছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মঙ্গলবার না জিতলে ফল মেনে নেবেন না বলে আবারও ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প।
এর আগে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৬টায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। আর এই ৫৮তম নির্বাচনের মাধ্যমে দেশটির জনগণ তাদের ৪৫তম প্রেসিডেন্টকে বেছে নেবেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সাড়ে ৩২ কোটি মানুষ। এর মধ্যে ভোটারযোগ্য ২২ কোটি। তার মধ্যে ভোটার সাড়ে ১৪ কোটি। তবে ভোট না দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। কেননা, গতবার ভোটের হার ছিল মাত্র ৫৭ শতাংশ। আর প্রেসিডেন্ট হতে ইলেকটোরাল কলেজের ৫৩৮টি ভোটের মধ্যে ২৭০টি পেতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/ ০৯ নভেম্বর ২০১৬/ এনায়েত করিম-৪