৪০% তরুণ-তরুণী বাস করছেন মা-বাবা অথবা নিকটাত্মীয়ের সাথে। ইউএস সেনসাস ব্যুরোর তথ্য বিশ্লেষণের পর এ সংবাদ দেয় রিয়েল এস্টেট ট্র্যাকার ‘টুলিয়া।’ ১৯৪০ সাল থেকে পরিচালিত এমন জরিপের পর গত বছরই সর্বপ্রথম এত অধিক সংখ্যক তরুণ-তরুণীর মা-বাবা-অভিভাবকের সাথে বসবাসের তথ্য উদঘাটিত হল। দৈনন্দিন ব্যয় বাড়লেও আয় তেমন বাড়েনি, অপরদিকে বাসা ভাড়াসহ গ্যাস, ইলেক্ট্রিক, ফোন, অনলাইন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে হিমসিম খাচ্ছেন পৃথক বাসায় বসবাসে। এটি অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে মনে করছেন ‘টুলিয়া’র গবেষকরা। তারা উল্লেখ করেছেন, অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা ক্রমান্বয়ে কেটে ওঠার পাশাপাশি চাকরির বাজারও চাঙ্গা হওয়া সত্ত্বেও ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সী সন্তানেরা আলাদা বাসা ভাড়া নেয়ার কথা কল্পনাও করতে পারছেন না। ২০০৫ সাল থেকেই এ ধরনের তরুণ-তরুণীর সংখ্যা বাড়ছে। এর আগে মন্দাভাব কেটে ওঠার সাথে সাথে এই বয়সী সন্তানেরা দ্রুত মা-বাবার বাড়ি ছাড়ে। এবার ঘটছে উল্টো।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গৃহায়ন নিয়ে গবেষণারত একটি সেন্টারের পর্যবেক্ষণ থেকে জানা যায়, অনূর্ধ্ব ৩০ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীর সংখ্যা গত ১২ বছরে বেড়েছে ৫০ লাখের মত। অপরদিকে, ওই একই সময়ে ব্যাচেলর ও স্বামী-স্ত্রী/প্রেমিক-প্রেমিকা/বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড বসবাসের এপার্টমেন্ট তৈরি হয়েছে মাত্র দুই লাখ। এর ফলে অধিকাংশ সিটিতেই এপার্টমেন্ট ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। টুলিয়ার চিফ ইকনোমিস্ট রাল্ফ ম্যাকললিন বলেছেন, চলমান পরিস্থিতি খুব বেশিদিন কর্মজীবী তরুণ-তরুণীদের হাউজিং মার্কেট থেকে দূরে সরিয়ে রাখবে বলে আমি মনে করি না। তবে ল্যান্ডলর্ড হবার আগ্রহ থেকে তাদেরকে বেশ কয়েক বছর দূরে রাখবে বলে মনে হচ্ছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১৯৩৯ সালে ভয়ংকর মন্দা কেটে ওঠার পরের বছর এ বয়সী সন্তানদের মা-বাবা-অভিভাবকের সাথে বসবাসের হার ছিল ৪০. ৯%। ১৯৬০ সালে তা হ্রাস পেয়ে হয়েছিল ২৪.১%। ১৯৮০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তা ৩১% থেকে ৩৩% এর মধ্যে ছিল।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬/ আফরোজ