মাত্র আড়াই লাখ ডলার বিনিয়োগ ঘটিয়ে কমপক্ষে ৫ আমেরিকানের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হয়-এমন বিনিয়োগকারীকে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি বাতিল করলো ট্রাম্প প্রশাসন। হোয়াইট হাউজের নির্দেশে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট গত সপ্তাহে এ নির্দেশ জারি করেছে।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নিত্য-নতুন আইডিয়া সম্পন্ন বিদেশীদের যুক্তরাষ্ট্রে আনার কৌশল হিসেবে এক নির্বাহী আদেশে এমন ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। এরফলে বছরে কমপক্ষে ৩ হাজার বিদেশীর আগমণ ঘটেছে বিভিন্ন রাজ্যে। তারা সকলেই ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি-উদ্যোক্তাও রয়েছেন বলে অভিবাসন নিয়ে কর্মরত এটর্নীরা এনআরবি নিউজকে জানিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন
সাবেক প্রেসিডেন্টের সময়ে চালু আরো অনেক কর্মসূচির মত বিজনেস ভিসার এই কর্মসূচিও বাতিল করা হলো। ওবামার এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে চালু সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকাণ্ড সামনের বছরের মার্চের মধ্যেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলেও যুক্তরাষ্ট্র সিটিজেনশিপ এ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিস (ইউএসসিআইএস)’র সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিদেশী উদ্যোক্তাদের যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগের এ সুযোগ সৃষ্টির ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেও গতি এসেছিল। বিশেষ করে প্রতিটি ফার্মে কমপক্ষে ৫ জন করে আমেরিকানকে উপযুক্ত পারিশ্রমিকে চাকরি প্রদানের ব্যবস্থাটি ইতিমধ্যেই প্রশংসিত হয়েছে। সিলিকন ভ্যালিসহ ক্যালিফোর্নিয়া, মিশিগান, টেক্সাস, পেনসিলভেনিয়া, নিউইয়র্ক, নিউজার্সি প্রভৃতি রাজ্যে আগে থেকেই বাস করা সত্ত্বেও যাদের ইমিগ্রেশনের স্ট্যাটাস ছিল না, তাদেরও সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে। অনেকেরই ডিপোর্টেশন রহিত করা হয়, অনেকেই গ্রীনকার্ড পেয়েছেন। আরো অনেকেই আড়াই লাখ ডলার সংগ্রহ করে ব্যবসা-বাণিজ্য চালুর মধ্য দিয়ে আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাসের চেষ্টায় ছিলেন। এছাড়া, গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকশত বাংলাদেশিও এই কর্মসূচিতে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রীনকার্ড লাভ করেছেন বলে জানা গেছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়েছে যে, বিনিয়োগ ঘটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের আরো অনেক কর্মসূচি রয়েছে, তাই যারা অধিক অর্থ এনে ব্যবসা-বাণিজ্যে আগ্রহী, তাদের ওয়ার্ক পারমিট কিংবা গ্রীনকার্ডের কোন সমস্যা হবে না।
প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য, ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক যুকারবার্গের সমর্থনে প্রতিষ্ঠিত ইমিগ্রেশন এডভোকেসী গ্রুপ ‘এফডব্লিউডি’র প্রেসিডেন্ট টোড শাটল এ প্রসঙ্গে বলেছেন, সারাবিশ্বের উদ্যমী এবং প্রতিভাবানদের নিয়ে টানাটানি চলছে। যুক্তরাষ্ট্র ছিল শীর্ষে এবং প্রেসিডেন্ট ওবামা সে সুযোগ তৈরী করেছিলেন। এর ফলে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডেও সুফল আসছিল। কিন্তু ট্রাম্পের প্রতিহিংসা পরায়নতা যুক্তরাষ্ট্রকেই এগুতে দেবে না বলে মনে হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন