বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে দামি কোচ ফিল সিমন্স। নতুন চুক্তিতে তিনি টাইগারদের হেড কোচ থাকবেন ২৮ মাস। এজন্য বেতন পাবেন ৮ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার বা ১০ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার ২০০ টাকা। ২০২৪ সালের অক্টোবরে চন্দ্রিকা হাতুরাসিংহের বিদায়ের পর সিমন্সকে নিয়োগ দেয় বিসিবি। শুরুতে ৫ মাসের জন্য চুক্তিবদ্ধ ছিলেন ক্যারিবীয় কোচ। গত ৩০ জুন বিসিবির পরিচালনা পর্ষদ সিমন্সের সঙ্গে নতুন চুক্তি করেছে ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৭ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।
নতুন মেয়াদে সিমন্স তিন ধারায় বেতন পাবেন। প্রথম বছরে তার মাসিক বেতন ২৬ হাজার ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ৩১ লাখ ৬০ হাজার ৮২০ (প্রতি ডলার ১২১.৫৭ টাকা হিসাবে)। বার্ষিক বেতন ৩ কোটি ৭৯ লাখ ২৯ হাজার ৮৪০ টাকা। দ্বিতীয় বছরে বেতন মাসিক ২৭ হাজার ডলার বা ৩২ লাখ ৮২ হাজার ৩৯০ টাকা। বার্ষিক বেতন ৩ কোটি ৯৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬৮০ টাকা। তৃতীয় মেয়াদে মাসিক বেতন ২৮ হাজার ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ৩৪ লাখ ৩ হাজার ৯৬০। আট মাসে তিনি পাবেন ২ কোটি ৭২ লাখ ৩১ হাজার ৬৮০ টাকা। সব মিলিয়ে ২৮ মাসে বেতন পাবেন ১০ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার ২০০ টাকা। বেতনের বাইরে মোটা অংকের বোনাস পাবেন সিমন্স। আইসিসির যে কোনো টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে যদি বাংলাদেশ ওঠে, এজন্য বাড়তি ২৫ হাজার ডলার বোনাস পাবেন। ফাইনাল ৫০ হাজার ডলার এবং চ্যাম্পিয়ন হলে ১ লাখ ডলার বোনাস পাবেন। এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হলে পাবেন ২৫ হাজার ডলার বোনাস। তার চুক্তিতে বেশ কিছু শর্ত রয়েছে, যেগুলো পুরোপুরি সিমন্সের পক্ষে। চাইলেই তাকে বাদ দেওয়া যাবেন না। এজন্য ছয় মাস আগে তাকে নোটিস দিতে হবে। অবশ্য দ্বিতীয় ও তৃতীয় বছরে মেয়াদ কিছুটা শিথিল। তখন তিন মাসের আগাম নোটিস দিতে হবে। সিমন্সের আগে বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি কোচ ছিলেন হাতুরাসিংহে। তিনি বেতন পেতেন মাসিক ২৫ হাজার ৮০০ ডলার। রিচার্ড পাইবাস পেতেন মাসিক ২২ হাজার ডলার।