পাকিস্তানে গত ২৬ জুন থেকে চলমান ভারী বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০৪ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) চলতি সপ্তাহে তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। গতকাল রবিবার আরব নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রতিবেদন অনুসারে, বৃষ্টিপাতজনিত ঘটনায় পাঞ্জাবে প্রাণহানির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেখানে ৩৯ জন নিহত হয়েছেন। এরপর খাইবার পাখতুনখোয়ায় ৩১ জন, সিন্ধুতে ১৭ জন, বেলুচিস্তানে ১৬ জন এবং আজাদ কাশ্মিরেও ২৬ জুন থেকে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ১০৪ জন নিহতের মধ্যে ৪৯ জন শিশু, ৩৭ জন পুরুষ এবং ১৮ জন নারী রয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ২০০ জন, এর মধ্যে ৭৬ জন শিশু, ৭৮ জন পুরুষ এবং ৪৬ জন নারী।
এছাড়াও ২৬ জুন থেকে সারাদেশে বৃষ্টিপাতজনিত ঘটনার কারণে ৪১৩টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়ায়। সেখানে ১৪৬টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিন্ধুতে ৮৬টি, পাঞ্জাবে ৫৪টি, বেলুচিস্তানে ৫২টি, আজাদ কাশ্মিরে ৪৫টি এবং গিলগিট-বালতিস্তানে ৩০টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শনিবার ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য নতুন সতর্কতা জারি করেছে। তাদের সর্বশেষ সতর্কতায় ১২ জুলাই থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত পাঞ্জাব, খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তান প্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সম্ভাব্য বন্যা এবং আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি সম্পর্কে বলা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শআ