ধর্ষক বাবা রাম রহিমের জেলে যাওযার দিন হরিয়ানায় দাঙ্গার পরিকল্পনা যে হানিপ্রীতই কষেছিল, সে বিষয়ে অনেকদিন আগে থেকেই নিশ্চিত ছিল ভারতের পুলিশ। এবার জানা গেল, দাঙ্গা বাঁধানোর জন্য প্রায় ১ কোটি ২৫ লক্ষ রুপি খরচ করেছিল হানিপ্রীত। একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকের খবর অনুযায়ী, ধর্ষক বাবা গুরমিত রাম রহিমের সাবেক ড্রাইভার এবং ব্যক্তিগত সহকারী রাকেশ কুমার পুলিশকে এমনই তথ্য জানিয়েছে।
সম্প্রতি পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে হানিপ্রীত। পুলিশকে রাকেশ জানিয়েছে, গত ২৫ অগস্ট রাম রহিমের সাজা ঘোষণার দু’দিন আগেই পাঁচকুলার ডেরা শাখার প্রধান চমকৌর সিংহকে এই বিপুল পরিমাণ রুপি দিয়েছিল হানিপ্রীত। তদন্তকারীদের অনুমান, দাঙ্গা বাঁধানোর জন্য অনুগামীদের হাতে পৌঁছে দিতেই এই রুপি দিয়েছিল হানিপ্রীত। রাম রহিম জেলে যাওয়ার পরে গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাকেশ কুমার নামে তার এই সাবেক সহকারীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাবার সাজা ঘোষণার দিন যে অশান্তি ছড়িয়েছিল, তাতে অন্তত ৩৬ জন ডেরা অনুগামীর মৃত্যু হয়। এই রাকেশই বাবা এবং হানিপ্রীতের সঙ্গে সাজা ঘোষণার দিনও ছিল। গত ২৬ অগস্ট সে হানিপ্রীতকে রোহতক থেকে সিরসায় পৌঁছে দিয়েছিল।
রাত দশটা বাজলেই হানিপ্রীতকে এসএমএস করত রাম রহিম! কী চাহিদা ছিল ভণ্ড বাবার পাঁচকুলার পুলিশ কমিশনার এ এস চাওলা তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত জানাতে না চাইলেও হানিপ্রীত যে ১ কোটি ২৫ লক্ষ রুপি দিয়েছিল, তা স্বীকার করেছেন। দাঙ্গা বাঁধানোর ঘটনায় আরও দুই অভিযুক্ত আদিত্য এবং পবন ইনসানও যে ভারতের মধ্যেই গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন, তাও জানিয়েছেন পাঁচকুলার পুলিশ কমিশনার। দ্রুত এই দু’জনকেও ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ। খবর এবেলার।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার