টুইটারে প্রথম আলাপ থেকেই তাদের সম্পর্ক পরিপক্কতা লাভ করে। ধীরে ধীরে তা সহবাস পর্যন্তও পৌছায়। এখানেই শেষ নয়! তরুণীর মুখ বন্ধ করতে সহবাসের বিনিময়মূল্য হিসেবে অ্যাকাউন্টে আড়াই লক্ষ রুপিও পাঠানো হয়েছে। এমনই অভিযোগ উঠল ভারতের সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত ব্যানার্জির বিরুদ্ধে! এমন অবস্থায় তরুণীর হুমকি, 'পরিস্থিতি এমন যে, আমার সঙ্গে সে কথা বলছে না। এখন ঋতব্রত আমাকে যদি বিয়ে না করে, তাহলে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করতে হবে।'
জানা যায়, ধর্ষণের স্বীকার বালুরঘাটের নম্রতা দত্ত নামের ওই তরুণী পেশায় সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার। বর্তমানে তিনি নেদারল্যান্ডসে কর্মরত। তিনি বলেন, ঋতব্রত কবে বিয়ে করবেন, কোথায় রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হবে ও বিয়ের অনুষ্ঠানের প্ল্যান-প্রোগ্রাম নিয়েও তাদের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছিল। ক্যামেরার সামনে মুখ খুলে এই তরুণী আরও দাবি করেন, ২০১৬ সাল থেকে ঋতব্রত ব্যানার্জির সঙ্গে পরিচয়। আমাদের টুইটারে পরিচয়। তখন বেঙ্গালুরুতে একটি বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি করি। টুইটারে বেশ কিছুদিন কথা হওয়ার পরে, উনি দিল্লির সাউথ অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটে আমাকে ডেকে পাঠান। দেখা করতে বলেন। টিকিটও পাঠান বিমানের। আমাদের মধ্যে তখন শারীরিক সম্পর্কও তৈরি হয়। তখন আমাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। আমাদের বাড়িতে এসে আমার মায়ের সঙ্গে দেখাও করেন।
তরুণীর দাবি- সহবাসের ক্ষতিপূরণ বাবদ তাকে কিছু না জানিয়ে টাকাও ব্যাঙ্কে জমা করা হয়েছে। তিনি জানান, আড়াই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে আমার ব্যাঙ্কে জমা পড়েছে। তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন সেই তরুণী।
এদিকে পুরো ঘটনাটি জানিয়ে দেশটির মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু দিল্লির বিভিন্ন দরবারেই ইমেইল মারফৎ লিখিত অভিযোগ করেছেন ধর্ষিতা তরুণী। তবে এই সব অভিযোগই ঋতব্রত অস্বীকার করেছেন। বরং তাকে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে বলে দাবি রাজ্যসভার ওই সাংসদের। সূত্র: এবেলা।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার