ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার সরকারের ব্যাপক আর্থিক ও প্রতিষ্ঠানগত সংস্কারের নিরিখে ভারতের ক্রেডিট রেটিং আপগ্রেড করেছে আমেরিকার সমীক্ষা সংস্থা মুডিজ। একই সঙ্গে ব্যক্তি মোদির জনপ্রিয়তা নিয়েও একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।
ফেসবুক কিংবা টুইটারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কতটা জনপ্রিয় তার আভাস পাওয়া যায়। তার পাশাপাশি সভা, সমাবেশেও তার জনপ্রিয়তার আঁচ পাওয়া যায়। এবার সেই জনপ্রিয়তার কারণ নিয়ে গবেষণা চালাল ইউনিভার্সিটি অফ মিচিগানের স্কুল অফ ইনফর্মেশন। গবেষণার সেই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ কমিউনিকেশনে। জেনে নিন সেই সমীক্ষার ১০টি প্রধান বিষয়—
১। নরেন্দ্র মোদির টুইটার হ্যান্ডেলকে ধরেই হয়েছে এই গবেষণা। গবেষণার সময়ে টুইটারে তার ফলোয়ার সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৬০ লাখের উপরে।
২। গত ছয় বছরে নরেন্দ্র মোদির করা ৯ হাজার টুইট'র উপরে নির্ভর করে গবেষণা চালানো হয়েছে।
৩। মোদির টুইটে রাজনীতির কথা ছাড়াও অন্য বার্তা থাকে।
৪। শুধু টুইট করাই নয়, রিটুইটের ক্ষেত্রেও সমান মনোযোগী ভারতের এই প্রধানমন্ত্রী। সেখানেও তিনি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে শব্দ ব্যবহার করেন।
৫। মোদির টুইটে প্রধানত ন’টি বিষয় থাকে। ক্রিকেট, রাহুল গান্ধী, বিনোদন, ছদ্ম প্রশংসা, দুর্নীতি, উন্নয়ন, পররাষ্ট্র বিষয়ক, হিন্দুত্ব এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি।
৬। মোদির বক্তব্যে সব সময়ে নানা রকম মজার উদাহরণ থাকে।
৭। কথায় বা টুইটে তিনি ‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’ এই বার্তাটি বারবার তুলে ধরেন।
৮। কংগ্রেস ও গান্ধী পরিবারকে আক্রমণের সময়ে তিনি নানা রকম জোকস বলেন। রাহুল গান্ধীকে ‘শাহাজাদা’ বলে আক্রমণ তারই একটা উদাহরণ।
৯। নিজেকে ধর্ম-নিরপেক্ষ প্রমাণ করেন মোদি। কিন্তু তাই বলে হিন্দুত্বকে অস্বীকার করে নয়। অন্যের থেকে নিজেকে আলাদা করে ‘দেশপ্রেমী’ ইমেজ তৈরি করেন।
১০। বিদেশ নীতি নিয়ে টুইট করার ক্ষেত্রেও মোদী নিজেকে ‘বিশ্ব-বন্ধু’ হিসেবে তুলে ধরেন। রাজনীতি থেকে বিনোদন কিংবা ক্রীড়াক্ষেত্রের সেলিব্রিটিদের সঙ্গে নিজের সাক্ষাৎকে তুলে ধরেন টুইটে।
এর আগে মার্কিন গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চও নরেন্দ্র মোদিকে ভারতের জনপ্রিয়তম নেতা বলে রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। ২০১৫ সালে হওয়া সেই সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছিল, প্রতি ১০ জন ভারতীয়র মধ্যে ৯ জনের নানা বিষয়ে মোদির পক্ষে মতামত রয়েছে। প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৭ জনের মোদির প্রতি সমর্থন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর