মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের কুখ্যাত 'গুয়ান্তানামো' কারাগার চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ক্ষমতায় আরোহনের এক বছর পূর্তি উদযাপন করেছেন ট্রাম্প।
এদিন মার্কিন কংগ্রেসের স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন।
বক্তৃতায় তিনি জানান, গুয়ান্তানামো কারাগার আবারও চালু করার নির্বাহী আদেশে তিনি স্বাক্ষর করেছেন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে বিতর্কিত ওই কারাগার বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গুয়ানতানামো কারাগার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি কারাগার যা বন্দীদের ওপর অমানুষিক নির্যাতনের জন্য কুখ্যাত। এই কারাগারে বন্দীদের বিনাবিচারে আটক রাখা হয় এবং তথ্য আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে বন্দীদের ওপর যৌন অত্যাচার, 'ওয়াটার বোর্ডিং'-সহ বিবিধ আইনবহির্ভূত উপায়ে নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনের প্রকার ও মাত্রা এতই বেশি যে এই কারাগারকে ‘মর্ত্যের নরক’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ সত্ত্বেও এই কারাগারটিকে অব্যাহতভাবে নির্যাতনের জন্য ব্যবহার করতে থাকায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে একে মার্কিনীদের ‘লজ্জা’ হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে।
এই কারাগারটি ২০০২ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূ-খণ্ডের বাইরে কিউবার দক্ষিণ-পূর্ব পাশে ক্যারিবীয় সাগরে এর অবস্থান।
১৪ই জানুয়ারি ২০১২ তারিখে প্রকাশিত আল জাজিরা টেলেভিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ৮০০ জন বন্দীকে মুক্তি দেয়ার পর এ কারাগারে বিভিন্ন দেশের ১৭১ জন বন্দী আটক আছে। এই কারাগারে মার্কিন-বিরোধী তৎপরতায় সংশ্লিষ্ট জঙ্গী, সন্ত্রাসী ও গুপ্তচর সন্দেহে বিভিন্ন দেশের নাগরিককে আটক রাখা হয়।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বন্দীশালায় বিনা বিচারে আট বৎসর আটক থাকার পর ১৯৮ জনের মধ্যে ১৩০ জনেরও বেশি বন্দী নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। এ পর্যন্ত মাত্র ৬ জন বন্দীকে বিচারের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত করা সম্ভব হয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/ ৩১ জানুয়ারি, ২০১৮/ ই জাহান