যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে আর ডিভি লটারির মাধ্যমে নয়, মেধার ভিত্তিতেই অভিবাসীদের ভিসা দেওয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমনটাই বলেছেন। মার্কিন কংগ্রেসে এই মর্মে আইন তৈরির আর্জিও জানান তিনি।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ট্রাম্প এ ভাষণে ট্রাম্প বলেন, সাম্প্রতিককালে নিউ ইয়র্কে দু’টি জঙ্গি হামলার পিছনে রয়েছে অভিবাসন নীতির শিথিলতা। লটারির মাধ্যমে গ্রিন কার্ড বিলি করার মতো নিয়ম রদ করার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণে তিনি প্রস্তাব করেন, পরিবর্তে ভিসা পেতে আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতাকেই মূল মানদণ্ড হিসেবে গণ্য করার প্রস্তাব করেছেন।
অভিবাসন নীতির সংস্কারে নিজের প্রস্তাবে মূলত চারটি দিকের কথা উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, প্রথমত ১৮ লক্ষ বেআইনি অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার রাস্তা সহজ করা হবে। যারা কম বয়সে মা-বাবা বা কোনো আত্মীয়ের সঙ্গে বেআইনিভাবে এদেশে ঢুকেছেন, তারা যদি শিক্ষা এবং কাজের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তপূরণ করতে পারেন, নৈতিক চরিত্র ভালো হলে তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে পারবেন।
দ্বিতীয়ত, বেআইনি অভিবাসীদের মুখের ওপর আমেরিকার দরজা বন্ধ করতে দেশের দক্ষিণ সীমান্ত বরাবর দেয়াল তোলার কথাও এদিন উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প।
তৃতীয়ত, লটারির মাধ্যমে ভিসা দেওয়ার নীতি থেকেও সরতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন। ফলে গ্রিন কার্ড আবেদনকারীর শিক্ষাগত বা পেশাগত দক্ষতার পাশাপাশি মার্কিন নাগরিকদের সুরক্ষার দিকটিও নিশ্চিত করা যাবে বলে মনে করে সরকার।
চতুর্থত, বর্তমান আইন অনুযায়ী, একজন অভিবাসী পরিবারের একাধিক সদস্য এমনকি দূরসম্পর্কের আত্মীয়দের সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখতে পারেন। নতুন প্রস্তাবে সেই প্রথা বন্ধ হবে।
বিডি প্রতিদিন/১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/ওয়াসিফ