'বিশ্ব সন্ত্রাসী তালিকায়' ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক দল হামাসের জ্যৈষ্ঠ নেতা ইসমাইল হানিয়াকে অন্তর্ভূক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার একটি প্রেস রিলিজে এ তথ্য জানায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর।
ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে 'হামাসের সন্ত্রাসী শাখার সঙ্গে সম্পর্ক' আছে এবং তিনি 'বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভিযানে' মদদ দিয়েছেন বলে অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ নিষেধাজ্ঞার মানে হলো ইসমাইল হানিয়া এখন আর ইচ্ছেমতো ভ্রমণ করতে পারবেন না, যুক্তরাষ্ট্রে তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নাগরিক তার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে না।
১৯৮৭ সালে হামাস প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ইসরাইল অধিকৃত গাজা পরিচালনা করে। ইজ আল-দিন আল-কাসাম ব্রিগেডস নামে এর সামরিক শাখাও আছে। গত বছরের মে মাসে এর রাজনৈতিক প্রধান নির্বাচিত হন হানিয়া। তার জন্ম গাজার শরণার্থী শিবিরে। ইসরাইলের প্রতি নমনীয় এই নেতা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাও চান।
গত বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে বসার আগ থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইসরাইলপ্রীতি বিশ্বের নজর এড়ায়নি। পবিত্র শহর জেরুজালেমকে ইসরাইলের একক রাজধানী ঘোষণা করে সেটার চূড়ান্ত পরিণতি দেন ট্রাম্প। কিন্তু এতে অশান্ত হয়ে উঠে মধ্যপ্রাচ্য। রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে ফিলিস্তিনের সাধারণ জনগণ গত ডিসেম্বরে দেয়া ট্রাম্পের সেই ঘোষণা এখনো মেনে নেয়নি। হানিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞাকে এসব ঘটনা থেকে আলাদা করে দেখছে না হামাস। দলটির নেতাদের বক্তব্য, এটা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ফিলিস্তিনবিরোধী কর্মসূচিরই একটি অংশ। সূত্র: আল জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/ফারজানা